Nitish BJP

নীতিশ-বিজেপি দূরত্ব ঘিরে সংশয়ের মধ্যে বিহারে কাল ভোট

জাতীয়

ভোট হবে ১২২ আসনে। দ্বিতীয় দফায় মোতায়েন হলো ৪ লক্ষের বেশি সুরক্ষা কর্মী। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৪৫ হাজারের বেশি বুথে। 
বিহারে প্রথম দফার ভোট হয়েছে ৬ নভেম্বর। ১১ তারিখ দ্বিতীয় দফার ভোট রাজ্যে। প্রথম দফায় ভোটদানের হার নতুন নজির গড়েছে। ছাড়িয়ে গিয়েছে ৬৫ শতাংশ।  
মহিলাদের ভোটদানের নিরিখে পর্যবেক্ষকদের একাংশ নীতিশকে এগিয়ে রাখছেন। সেই সঙ্গে তারা বলছেন জোট সঙ্গী হিসেবে বিজেপি একই সুবিধা পাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। 
বিহারে প্রধানমন্ত্রী বা অমিত শাহ এর শেষ পর্বের প্রচারে অংশ নেননি জেডিই নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিজেপি দুই শীর্ষ নেতাও স্পষ্ট করে বলেননি যে রাজ্যে এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ নীতিশ কুমার। 
উল্টোদিকে আরজেডি, কংগ্রেস বামপন্থী দলগুলি সহ একাধিক দলের জোট ‘মহাগঠবন্ধন’ মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন তেজস্বী যাদবের নাম। তেজস্বী এবং রাহুলের সভায় বিশেষ করে কম বয়সি অংশের ভিড় নজর এড়াচ্ছে না কারোরই। 
বিজেপি এ রাজ্যে লাগাতার প্রচারে দুটি বিষয়কে সামনে এনেছে। এক, ‘ঘুষপেটিয়া’ বা অনুপ্রবেশকারী তকমা এতে দিয়ে মুখ্যত মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার চালিয়েছে। রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ায় ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটদাতার নাম বাদ গেলেও নির্বাচন কমিশন জানাতে পারেনি কারা অনুপ্রবেশকারী। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি জোটের নির্বাচনী প্রচারে এসে লাগাতার বলে চলেছেন এসআইআর অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দিয়েছে। 
বিজেপির দ্বিতীয় প্রচার পূর্বতন লালু প্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি সরকারের ‘জঙ্গল রাজ’-র বিরুদ্ধে। 
উল্টো দিকে তেজস্বী যাদবের প্রচারে মুখত থেকেছে কর্মসংস্থানের বিষয়। রাজ্যে প্রায় ৩ কোটি যুব ভোটার ভোট দিচ্ছেন। এদের বড় অংশই অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। নীতিশ কুমারের প্রায় কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে তেজস্বী বলছেন বিহারে শিক্ষা এবং কাজের সুযোগের এত সংকট কেন। তাঁর প্রচারে রয়েছে মহিলাদের উপর নিপীড়নের একাধিক ঘটনাও। 
বিজেপি প্রাথমিকভাবে নীতিশ কুমারকে কোণঠাসা করার কৌশল নিয়েছিল। নীতিশ ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন অংশের বক্তব্য তিনি যথেষ্ট রুষ্ট। ভোটের দিনক্ষণ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বুঝতে পেরেছে এই কৌশল তাদের পক্ষে সুবিধা জনক হবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পাঠানো হয়েছে নীতিশের কাছে। খুব অল্প সময়ের বৈঠকের পর প্রধান বলেছেন যে নীতীশের মুখ্যমন্ত্রী তো নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। 
প্রশ্ন উঠেছে মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডেকে নিয়ে এমন কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফলে নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সমীকরণ ঘিরে প্রশ্ন জমে রয়েছে বিহারে।

Comments :0

Login to leave a comment