পুলিশের জুলুম বন্ধের মতো একাধিক দাবিতে ২২ থেকে ২৪ মে রাজ্যের সর্বত্র বাস ধর্মঘটে নামছে বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে এই সংগঠনগুলি বলেছিল যে মুখ্যমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ না করেন তাহলে টানা তিনদিনের ধর্মঘট করতে বাধ্য হবে। মঙ্গলবার এই সংগঠনগুলির বক্তব্য প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।
সোমবার বিকেলেই পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহার পথ বেরোয়নি। ফের মঙ্গলবার পরিবহণ সচিব-সহ ডিসি ট্রাফিকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাস মালিকদের সংগঠনগুলি জানাচ্ছে যে এদিন বৈঠকের পরও কোনও ইতিবাচক দিক মেলেনি। তাই তাঁরা বন্ধে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের আহ্বায়ক তপন ব্যানার্জি বলেন, "পুলিশ কেস দেওয়ার নামে জুলুম করছে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে নিচ্ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছি আমরা এবং ড্রাইভাররাও। ৮ বছর বাসের ভাড়া বাড়েনি। কিন্তু এই সময়কালে ডিজেল প্রায় ১০০ টাকা লিটার হয়ে গেছে। আমরা বলেছিলাম পরিবহণ দপ্তর বাসের ভাড়া নির্দিষ্ট করার জন্য একটি কমিটি করে দিক। সেই কমিটি ঠিক করুক কত টাকা ভাড়া হওয়া দরকার। ১ টাকা বাড়বে না ৫ টাকা বাড়বে। আমরা চাইছি সরকার নির্দিষ্ট ফেয়ার চার্ট করে দিক।"
তিনি আরও বলেন, "১৫ বছরের পুরনো বাস তুলে দেওয়ার যে নিয়ম, তা নিয়েও আমাদের বক্তব্য ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ২বছর বাস চলেনি। তাই বর্তমান বাসগুলির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হোক। এছাড়াও কলকতার বাইরে বিভিন্ন টোলপ্লাজাতে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা টোলট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন এই সংগঠনগুলি প্রতিনিধিরা গত ৯ মে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পুলিশের জুলুম সহ মোট পাঁচ দফা দাবি করেন তারা।
তাঁরা আরও জানিয়েছিলেন ২০ মে আমাদের দাবিগুলি সরকার বা পরিবহণ দপ্তর বিবেচনা না করে তাহলে আমরা টানা ৭২ ঘন্টা বাস ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।
bus strike
২২ মে থেকে টানা তিন দিন ধর্মঘটের ঘোষণা বাস মালিকদের

×
Comments :0