২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বে তাণ্ডব চালানোর পর আবারও কি কোভিড ১৯ ফের ফিরে আসছে। সোমবার সকালের তথ্য বলছে করোনা সংক্রমণ ভাইরাসটি ধীরে ধীরে এশিয়ায় ফিরে আসছে। গত কয়েক সপ্তাহে সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। ভারতে সম্প্রতি কোভিড-১৯’র ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এনবি.১.৮.১ এবং এনএফ। ৭ সনাক্ত করা হয়েছে। যদিও করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আতঙ্কিত না হওয়ার পর্রামর্শ দেয়েছেন স্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকেই অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এনবি.১.৮.১ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ভারতে করোনার এলএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত চারজন রোগীর খোঁজ মিলেছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টগুলি ওমিক্রনের অংশ বলে জানানো হয়েছে। সংক্রমণে রোগীরা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বেড ও অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হয়েছে তবে এখনও প্রর্যন্ত এমন কোনও তথ্য মেলেনি যে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টগুলিকে আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় বেশি সংক্রামক বলা যাবে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই প্রকার করোনার হদিশ মিলেছে দেশের একাধিক রাজ্যে। যদিও ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ করোনা সংক্রমিত এক রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্রে। রাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সংখ্য়াটা বেড়ে দাঁড়ায় চার। সোমবার সকালে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা গেল এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ জন। আক্রান্তদের তালিকায় বয়েছেন বৃদ্ধ, প্রসূতি, কিশোরও। স্থাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল প্রর্যন্ত সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ভাইরাস বিলুপ্তি হয়নি, রূপ পরিবর্তন করে ফের ফিরছে করনা। আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে ও গাইডলাইন মেনে চলার পরামর্শের কথা বলছেন।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯ মে থেকে ২৬ মে এই আটদিনে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯ জন। কেরালায় ৪৩০ জন, মহারাষ্ট্র ২০৯ জন, দিল্লিতে ১০৪ জন,  গুজরাটে ৮৩ জন। বাংলায় ১১ জন এবং তামিলনাড়ুতে ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।  ৪ জন মহারাষ্ট্রে, ২ জন কেরালার এবং ১ জন কর্ণাটকের।