ছত্তিশগড়ের ইস্পাত কারখানার চিমনি ভেঙে বিপর্যয়। আটক বহু শ্রমিক। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যদিও সংখ্যাটা এখনও নিশ্চিত নয়। প্রশাসনের তরফে আটকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের মুঙ্গেলির সারগাঁও থানার রামবোদ অঞ্চলের মুকুটলাহ প্ল্যান্টে। যেখানে চিমনি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েন। পুলিশ ও প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
মুঙ্গেলির জেলাশাসক রাহুল দেও বলেন, “মুঙ্গেলির সারগাঁও থানার রামবোদ অঞ্চলে একটি ইস্পাত কারখানায় চিমনি ধসে পড়ার পর শ্রমিকরা আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত একজন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে”।
প্রশাসনের আশঙ্কা ২৫ জনেরও বেশি শ্রমিক ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন। এর মধ্যে অনেকেরই মৃত্যুর খবর মিলছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, অন্তত ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বিকেলে ওই কারখানায় বহু শ্রমিক কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকা চিমনি ভেঙে পড়ে য়ায়। অনেক শ্রমিক চিমনির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছেন। সেই কারণে মৃতের সংখ্যা আরও রাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরই চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক-সহ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্ধারকারী দল শুরুতে দু'জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পেরেছে। তাঁদের বিলাসপুরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
মুঙ্গেলির পুলিশ সুপার ভোজরাম প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘‘ইস্পাত কারখানায় লোহার তৈরি গম্বুজাকৃতি চিমনি ভেঙেছে। একেই সিলো বলা হয়। কারখানার জিনিসপত্র ওই লোহার কাঠামোর ভিতরে সংরক্ষণ করা হয়।’’
ইস্পাত কারখানার মালিক আদিত্য আগরওয়াল বলেন, ‘‘প্রায় ১০টি কন্টেইনার ধ্বংসাবশেষে ভরা এবং একটি ট্রেলারও এর নিচে আটকা পড়েছে। পুলিশ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা দুজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে আটকে পড়া ব্যক্তির মোট সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকে রয়েছেন।’’
ওই ইস্পাত কারখানায় প্রতিদিন প্রায় চারশোর বেশি শ্রমিক কাজ করেন বলে জানা গেছে।
চিমনিটি ধসে পড়ার সময় কারখানাটির নির্মাণকাজ চলছিল, যার ফলে ৩০ জনেরও বেশি লোক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ার আশঙ্কা। কারখানাটিতে লোহার পাইপ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। চিমনিটি ধসের পর, কারখানার শ্রমিকরা পুলিশকে খবর দেয়। উদ্ধারকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে।
Chhattisgarh Chimney Collapse
ছত্তিশগড়ে ইস্পাত কারখানার চিমনি বিপর্যয়, বহু মৃত্যুর আশঙ্কা
×
Comments :0