PANCHAYAT NOMINATION SALIM

প্রস্তুতি নেই কমিশনের, মনোনয়ন ঘিরে
অব্যবস্থায় ক্ষোভ সেলিমের

রাজ্য

শুক্রবার জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনে যে পরিস্থিতি দেখা গেছে তা নিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, প্রথম থেকেই বলেছি, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আজকে বোঝা গেলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রস্তুত নয়। অধিকাংশ জায়গায় কী করতে হবে তার কোনো নির্দেশ যায়নি। আজকে যারা মনোনয়ন জমা দিতে গেছেন, তাঁরা দেখেছেন হয় টেবিল রেডি নেই, টেবিল রেডি থাকলে লোক নেই, লোক থাকলে তাঁরা প্রশিক্ষিত নয়, অথবা ফর্ম নেই। অথচ এগুলি করাই প্রশাসনের কাজ। একজন অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ প্রশাসককে কমিশনার করা হলো। তিনি কি ভেবেছিলেন যে ‘ভিনি ভিডি ভিসি’, এলাম দেখলাম জয় করলাম ভঙ্গিতে নির্বাচন হয়ে যাবে! 

সেলিম বলেছেন, প্রশাসনের যারা ব্লক বা মহকুমা স্তরে রয়েছেন তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচন কমিশনার যখন ঘোষণা করলেন তখনই সবটা যাচাই করে নেওয়া উচিত ছিল তাঁর। ঘোষণার পরে রাতে তিনি অনলাইনে মিটিং করেছেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। রাতভর কর্মীদের দিয়ে বাঁশ বাঁধা যায়, কিন্তু বাকি প্রস্তুতি সারা হয়নি। আজ সকাল থেকে বামফ্রন্ট কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন মনোনয়ন জমা দিতে। প্রথম দিনে উৎসাহ নিয়ে যারা নেমেছেন তাঁদের অভিনন্দন জানাই, অনেক জায়গায় বিলম্বে হলেও তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। কিছু জায়গায় কাল দেওয়া হবে। 

সেলিম বলেন, মানুষের ক্ষোভের বাস্তবতাকে না বুঝে তৃণমূল কোথাও কোথাও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশের কোনও প্রস্তুতি ছিল বলে মনে হয় না। কোথাও কোথাও ব্লক পর্যায়ে সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়েছে, যা আগেই করা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের। তাদের বুদ্ধিতে এলো না এই বিষয়টি! নির্বাচনের বিষয় কেবল একজন জানলেই চলবে- এটা একনায়কতান্ত্রিক প্রবণতা। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসে এসব করা চলে না। পঞ্চায়েত মানে গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ। কিন্তু এরা গণতন্ত্রকে সংকুচিত করতে চাইছে। তৃণমূল এবং প্রশাসন গণতন্ত্রকে যত সংকুচিত করতে চাইবে, বামপন্থীরা মানুষকে নিয়ে ততোই ওদের শক্ত মুঠো আলগা করে দিয়ে অধিকার কেড়ে নেবে।

Comments :0

Login to leave a comment