BJP TMC Corporate Fund

বিজেপি-তৃণমূলের মাথায় কর্পোরেটের আশীর্বাদ

সম্পাদকীয় বিভাগ

সুশোভন

আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাল্টি ট্যালেন্টেড! ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস– সাহিত্যের জগতে তাঁর অবাধ বিচরণ। এছাড়াও গান গাইতে পারেন, রান্না করতে পারেন, ধামসা মাদলের তালে নাচ করতে পারেন, ফুটবল খেলতে পারেন। আবার ছবিও আঁকতে পারেন। আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রায়ই ছবি আঁকতেন। মুখ্যমন্ত্রী রঙ, তুলি, ক্যানভাস নিয়ে ছবি আঁকতে বসলেই বাংলার গৃহপালিত মিডিয়া ঠিক খবর পেয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রী তুলির আঁচড়ের লাইভ টেলিকাস্ট হতো। বাংলার মানুষ চাটুকারিতার বিচিত্র নমুনা চাক্ষুষ করত। কিছু তাঁবেদার চিত্রশিল্পী কমিটির চেয়ারে বসার লোভে ঐ কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং ছবির সার্টিফিকেট বিলি করত। আর ১.৮৬ কোটি টাকায় সেই ছবি পটাপট মার্কেটে বিক্রি হতো। 
নিন্দুকে বলেন, এত টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনার মতো আর্ট বুঝতেন কেবল দু’জন। একজন সুদীপ্ত সেন– সারদা চিট ফান্ড কাণ্ডে জেল খাটছেন। আরেকজন গৌতম কুণ্ডু রোজভ্যালি চিট ফান্ডে জেল খাটছেন। দিল্লিতে সেটিং-এ সিবিআই, ইডি’র চাল গদাই লশকর  না হলে, আরও কয়েক পিস আর্ট বোদ্ধা এই বাংলায় পাওয়া যেত বৈকি।   
যাক গে, আগে মুখ্যমন্ত্রী ছবি এঁকেই দল চালিয়ে নিতেন বলে দাবি করতেন। আজকাল আর করেন না। একদিক থেকে ভালোই করেন। কারণ নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের মহারথী অরূপ বিশ্বাস আর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যে তথ্য জমা করেছেন সেটা দেখার পরে “ছবি এঁকে দল চালাই শুনলে” পার্থ-অনুব্রতরাও জেলের ভেতর থেকে এমন জোরে হাসবে, যে নবান্নের ১৪ তলা থেকেও শোনা যাবে। 
২।  
নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের জমা তথ্য দেখে রাজনৈতিক মহলের চক্ষু চড়ক গাছ মশাই! ২০২১-২২ আর্থিক বছরে তৃণমূলের মোট আয় ৫৪৫ কোটি। আর তার মধ্যে ৯৬%, অর্থাৎ ৫২৮ কোটি আয়ের উৎস নির্বাচনী বন্ড! কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দলের আয় যেখানে ১৪ কোটি সেখানে তৃণমূলের আয় কংগ্রেসের ৩৮ গুণ। ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৪ কোটি। অর্থাৎ এক বছরে বৃদ্ধির হার ১২০০%! 
তৃণমূলের স্বাভাবিক মিত্র বিজেপি অবশ্য নিজেদের তথ্য এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়নি। দিলে বোঝা যেত তৃণমূল আসলে এ ব্যাপারেও বিজেপি’র মেলায় হারিয়ে যাওয়া যমজ ভাই। আগের যে তথ্য পাবলিক ডোমেনে আছে সেই অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশে মোট নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছিল ৩,৪২৯.৫৬ কোটি টাকার। আর এর মধ্যে বিজেপি’র তহবিলেই গেছে ২,৫৫৫ কোটি। শতকরা ৭৪%।  
লাস্ট বাট নট লিস্ট। নির্বাচনী বন্ড থেকে এবারও সিপিআই(এম)’র আয় ‘শূন্য’। সিপিআই(এম) ঘোষিত ভাবেই বহুদিন নির্বাচনী বন্ড বিরোধী তো বটেই এমনকি রাজনৈতিক পার্টির ফাণ্ডে যে কোনও কর্পোরেট ডোনেশেনের বিরুদ্ধে। থিওরিতেও আর প্র্যাকটিসেও। ভণ্ডামির রাজনীতি সিপিআই(এম) করে না। 


৩। 
- তোদের নির্বাচনী তহবিলে আর কে পয়সা দেবে বল? তাই এই ‘শূন্য’টা তোদের চয়েস না কম্পালশান! 
আগের অংশটুকু পড়ে যারা আপনাকে এই জ্ঞান দিতে আসবে, তাদের দুটো বাতাসা আর জল দিয়ে ঘরে আপ্যায়ন করে বসিয়ে একটা ঘটনার কথা যত্ন করে মনে করিয়ে দিন! রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বচ্ছভাবে অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ২০১৩-তে টাটা শিল্পগোষ্ঠী জাতীয় স্তরে স্বীকৃত প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চাঁদা হিসাবে চেক পাঠিয়েছিল। বিজেপি, কংগ্রেসের সদর দপ্তরের মতো দিল্লিতে সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর এ কে গোপালন ভবনেও সেই চেক এসেছিল। কিন্তু সিপিআই(এম)-ই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা পত্রপাঠ নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়ে সেই চেক টাটাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। তাই কর্পোরেট ডোনেশন না নেওয়া কিংবা নির্বাচনী বন্ড বিরোধী অবস্থানটা সিপিআই(এম)’র ডোনেশনের অভাবগত কম্পালশেন না। বরং চয়েস। আদর্শগত চয়েস! 
কিন্তু বিষয়টা এরকম মনে করার কারণ নেই যে তার আগে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে কর্পোরেট ডোনেশনের চল ছিল না। কিন্তু তার আগে ২০,০০০টাকার বেশি যে কোনও ডোনেশন গ্রহণ করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে তার বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা করতে হতো। ২০১৭-১৮ সালে মোদী সরকার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আইন পাশ করে। সঙ্গে এফসিআরএ আইনে রেট্রোস্পেক্টিভ ভাবে সংশোধনী আনা হয়। গোদা বাংলায় এই দুটো আইনের বদলে ঠিক কী বলা হয়? 
প্রথমত, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে কেউ (ব্যক্তি বা কোম্পানি) যে কোনও রাজনৈতিক দলের তহবিলে অনুদান দিতে পারেন। অনুদান, অনুদানকারী এবং অনুদানের পরিমাণের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গোপন থাকবে। প্রকাশ্যে আনার কোনও দায় রাজনৈতিক দলগুলির আর থাকবে না। 
দ্বিতীয়ত, এফসিআরএ আইনের রেট্রোস্পেক্টিভে সংশোধনী অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানিগুলির রাজনৈতিক অনুদানে বৈধতা দেওয়া হয়।  
তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে যে কোনও অনুদানের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়। 
৪। 
এই আইন পাশ করার পর, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত করতে তাদের প্রস্তাব পাঠাতে আবেদন জানায়। ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ অরুণ জেটলির কাছে সিপিআই(এম)-র অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিশদ চিঠি পাঠান পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কী লেখা হয়েছিল চিঠিতে: 
এক, সিপিআই(এম) মনে করে রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে যে কোনও ধরনের কর্পোরেট ডোনেশন বন্ধ হওয়া উচিত। কর্পোরেট রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিলে অনুদান কে বিনিয়োগ হিসাবেই দেখে এবং সরকারী নীতি প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করার উদ্দেশ্যেই বিনিয়োগ করে। রাজনৈতিক দলগুলিও, কর্পোরেট তহবিলের প্রাপক হওয়ার কারণে কর্পোরেটদের জন্য ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ নীতি প্রণয়ন করে এবং করার চেষ্টা করে। 
দুই, কর্পোরেটগুলি যদি সত্যি সমাজসেবামূলক কাজ করতে চায়, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের ভূমিকা পালন করতে চায়, তাহলে তাদের মুনাফার একটি অংশ রাজনৈতিক দলের তহবিলে না দিয়ে জন্য নির্ধারিত রাষ্ট্রীয় তহবিলে দেওয়ার জন্য আইন আনা হোক।  
তিন, নির্বাচনী বন্ড একটি পশ্চাৎমুখী পদক্ষেপ। রাজনৈতিক অনুদানকে স্বচ্ছ ও পরিশুদ্ধ করার চেষ্টার বিপরীতমুখী হয়ে দাঁড়াবে এই সিদ্ধান্ত যা অনুদানকারীর ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হবে। রাজনৈতিক দলের অনুদান নিয়ে বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ অতীতের থেকেও অনেক বেশি অস্বচ্ছ এবং অস্পষ্ট। 
চার, রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচারে খরচের কোনও ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নেই। অথচ নির্বাচনে প্রার্থীর খরচের সীমা বাঁধা থাকে। সিপিআই(এম)’র দাবি, রাজনৈতিক দলগুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব আইনি সীমায় বাঁধা হোক। তা লঙ্ঘন করলে কঠোর শান্তির মুখে পড়তে হবে এমন আইন প্রণয়ন করা হোক। 
অবশ্য এসব কথা সিপিআই(এম) নতুন করে বলছে না। বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সময় ক্ষমতায় এসে, ‘গোস্বামী কমিটির’ সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দুর্নীতি এবং অপকর্ম মুক্ত করার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রবীণ সাংসদ ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের নেতৃত্বে, সোমনাথ চ্যাটার্জি, মনমোহন সিংদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, সেদিনও সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী দলগুলি ছাড়া পার্টি ফান্ডে কর্পোরেট ডোনেশেন বন্ধের প্রস্তাব সমর্থন করেনি কেউ। বিজেপি-কংগ্রেস তো বটেই, এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।


৫। 
কিন্তু এবারের নির্বাচন কমিশনের জমা পড়া এই তথ্যের গুরুত্বটা অন্য আঙ্গিকে। যে কোনও কর্পোরেট, রাজনৈতিক দলের তহবিলে অনুদানের শর্ত হলো ক্ষমতাসীন সরকার কর্পোরেট বান্ধব নীতি প্রণয়ন করবে। কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড় দেবে, আইন পরিবর্তন করবে, প্রাকৃতিক সম্পদ কম দামে বা প্রায় বিনে পয়সায় তাদের হাতে তুলে দেবে। সেই কারণে কেন্দ্রে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থেকেছে তারাই কর্পোরেট ডোনেশনের সিংহভাগ পেয়েছে –এটাই আর্থিক উদারীকরণ পরবর্তী ভারতের প্রবণতা। কিন্তু এবার একটা অঙ্গ রাজ্যের রাজনৈতিক দল তৃণমূলের কাছে এই বিপুল পরিমাণ কর্পোরেট ডোনেশন অভূতপূর্ব তো বটেই এবং খুবই আশ্চর্যজনক। ফলে আমরা, বামপন্থীরা যা এতদিন বলে এসেছি সেটাই আরও দৃঢ়ভাবে সোচ্চার হয়ে বলার সময়ে এসেছে।
২০১১-র বামফ্রন্টের নির্বাচনী পরাজয় কোনও সিম্পল লিনিয়ার ইকুয়েশন ছিল না! জামাত থেকে সঙ্ঘ পরিবার বিজেপি, দেশের বামবিরোধী সমস্ত শক্তির রামধনু জোটের মুখ হিসেবে প্রোজেক্টেড হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ফিনান্স ক্যাপিটালের ব্লু-আইড কন্যা মমতা! এই কর্পোরেট ডোনেশন সেই বক্তব্যকেই শক্তিশালী করে!
সম্প্রতি সঙ্ঘের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, সঙ্ঘ পরিবার চায়, বিজেপি ক্ষমতায় না আসতে পারলে যেন বাংলাতে তৃণমূলই সরকার চালায়। বাংলার মানুষ আবার বামপন্থীদের প্রতি ঝুঁকে পড়ুক সঙ্ঘ সেটা চায় না। সঙ্ঘের এই বোঝাপড়া থেকেই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক বোঝাপড়া রয়েছে। ফলে বিজেপি-র মদতেই এই কর্পোরেট ডোনেশন তৃণমূলের পকেটে এসেছে যাতে বাংলার রাজনীতিতে বাম বহির্ভূত বাইনারি ধরে রাখতে এই বিপুল অঙ্ক তৃণমূল ব্যবহার করতে পারে। 
তিলাবনির পাহাড় থেকে দেউচা পাঁচামি— বাংলার বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ কর্পোরেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে গিয়ে গৌতম আদানি যে মৌ স্বাক্ষর, লো-কস্ট মডেলিং-র জন্য বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর আদানি গ্রুপের শ্যেন দৃষ্টি, নবান্নে এসে আদানির মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ আর সর্বশেষ তৃণমূলের তহবিলে এই  বিপুল পরিমাণ কর্পোরেট ডোনেশন। সবই কি কাকতালীয়?


৬। 
সিপিআই(এম), তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস; সবকিছু সরিয়ে আপনিই বরং কয়েকটা মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। এক, কর্পোরেট কোনও রাজনৈতিক দলের তহবিলে অনুদান কেন দেবে যদি তার কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থ না থাকে? দুই, কোন কর্পোরেট কোন রাজনৈতিক দলের তহবিলে কত টাকা অনুদান দিল এই তথ্য জনসমক্ষে আনতে সরকারের কীসের অসুবিধা? তিন, যে কর্পোরেট শাসক দলের তহবিলে যত বেশি অনুদান দেবে নীতি প্রণয়নের তারা বেশি সুবিধা পাবে, কর্পোরেট ট্যাক্স মকুব হবে– এটা ভাবলে কি কিছু ভুল ভাবা হয়? চার, সরকারি তহবিল থেকে নির্বাচনী খরচা চালানোর বাধ্যবাধকতার   ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির কী অসুবিধা আছে? 
এই প্রশ্নগুলির সদুত্তর আপনি বামপন্থী দলগুলি ছাড়া অন্য কোনও দলের কাছ থেকে পাবেন না। কারণ অন্যদের রাজনৈতিক তহবিলের মুখ্য উৎসই হলো নির্বাচনী বন্ড অর্থাৎ কর্পোরেট ডোনেশন। সে তৃণমূলই হোক কিংবা বিজেপি! আম্বানি-আদানি। তাঁর উপর চিট ফান্ড, কয়লা পাচার কিংবা বালি চুরির দুর্নীতি। ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই অস্বচ্ছ। একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে আর্থিক উদারীকরণের পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের উপর ক্রমাগত মানুষের নিয়ন্ত্রণ কমেছে আর কায়েম হয়েছে কর্পোরেটের মুনশিয়ানা। বিজেপি সরকারের আমলে নির্বাচনী বন্ড আসলে সেই কর্পোরেটের দখলদারিকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস। অনুদান, অনুদানকারী এবং অনুদানের পরিমাণের মত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গোপন করে সাধারণ মানুষের কোনও উপকারে লাগছে এই নির্বাচনী বন্ড?    
 

Comments :0

Login to leave a comment