Vikram Misri

ভক্তদের ট্রোলে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলেন বিদেশসচিব! ধিক্কার বিদ্বেষপ্রচারে

জাতীয়

সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে ঘোষণা করেছিলেন তিনিই। বিদেশসচিব হিসেবে সাংবাদিক সম্মেলনে, গত শনিবার, জানিয়েছিলেন সরকারি স্তরে গৃহীত সিদ্ধান্ত। তারপর থেকে বিক্রম মিসরিকে পড়তে হলো জঘন্য ট্রোল বাহিনীর আক্রমণের মুখে। 
পরিস্থিতির জেরে নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হয়েছে ভারতের বিদেশসচিবকে। উগ্র জাতীয়তাবাদী এই বাহিনীর বিদ্বেষের হাত থেকে রেহাই পাননি বিদেশ সচিবের কন্যাও। এমনকি দুই সেনা আধিকারিক সোফিয়া কুরেশি এবং ব্যাোমিকা সিং-কে লক্ষ্য করেও জঘন্য মন্তব্য চলেছে।
রবিবার রাতে ট্রোল বাহিনীকেও পড়তে হয়েছে কড়া প্রতি আক্রমণের মুখে। কূটনৈতিক স্তরের আধিকারিক বা রাজনীতিবদরাই কেবল নন, এগিয়ে এসেছে সচেতন নাগরিকদেরও একাংশ।
ফরেন সার্ভিস আধিকারিকের এই হেনস্তায় সরব হয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রাক্তন প্রতিনিধি শশী থারুরও। তিনি বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তকে জনসমক্ষে ব্যাখ্যা করেছেন মিসরি।  
শনিবার সন্ধ্যায় মিসরি ঘোষণা করেন সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত। তার আগেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জানিয়ে দিয়েচিলেন সংঘর্ষবিরতি হবে। আমেরিকার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নের মুখে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর মধ্যেই মোদীভক্ত বাহিনী নতুন বিদ্বেষ ছড়াতে নামে।
এর আগে উগ্র জাতীয়তাবাদের নামে কাশ্মীরী এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় এই বাহিনী। তার প্রতিবাদ করেন পহেলগামের সন্ত্রাসে নিহতদের আত্মীয়রাও। তার মধ্যে ছিলেন নিহত নৌআধিকারিকের স্ত্রী হিমাংশী নারওয়ালও। বিদ্বেষ, ঘৃণা প্রচারের বিরোধিতা করায় অশ্লীল মন্তব্যের স্রোত ধেয়ে আসে তাঁকে ঘিরে। দেশপ্রেমের এমন নমুনা যদিও নাগরিকদের বড় অংশের কাছে ধিকৃতও হয়েছে। 
প্রাক্তন বিদেশসচিব নিরুপমা মেনন রাও বলেছেন, ‘‘মিসরি এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে এই আক্রমণ নির্লজ্জ। দক্ষ আধিকারিক বিক্রম মিসরি। তার ওপর তাঁর কন্যাকে ঘিরেও মন্তব্য করা হচ্ছে। এই ঘৃণা এবং বিদ্বেষ বন্ধ করতে হবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment