GENERAL KNOWLEDGE / TAPAN KUMAR BAIRAGYA / CHILDRENS DAY / NATUNPATA / 14 NOVEMBER 2025 / 3rd YEAR

জানা অজানা / তপন কুমার বৈরাগ্য / শিশুদিবস ও লাল গোলাপ / নতুনপাতা / ১৪ নভেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

ছোটদের বিভাগ

GENERAL KNOWLEDGE  TAPAN KUMAR BAIRAGYA  CHILDRENS DAY  NATUNPATA  14 NOVEMBER 2025  3rd YEAR

জানা অজানা

নতুনপাতা

শিশুদিবসলাল গোলাপ
তপন কুমার বৈরাগ্য

১৪ নভেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

ভারতের শিশুদিবস ১৪ই নভেম্বর।ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী
ছিলেন জওহরলাল নেহেরু এবং ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি
ছিলেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল
নেহেরু১৮৮৯খ্রিস্টাব্দের ১৪ই নভেম্বর এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ
করেন।তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আদর্শবাদী মানুষ।
তিনি শিশুদের নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন।
তার জন্মদিনে নানা জায়গা থেকে নানা বয়েসের শিশুরা আসতো তার সঙ্গে দেখা করবে বলে।
শিশুদের জন্য তার দ্বার সব সময়ে অবারিত ছিল।তিনি তার
জন্মদিনে শিশুদের সাথে সারা দিনটা কাটাতেন।আনন্দে ,
শিশুদের কলতানে দিনটা উদযাপিত হতো।তিনি শিশুদের
নানা উপহার দিতেন ।তারা তাকে চাচা নেহেরু বলে ডাকতেন।
তিনি শিশুদের কোলে তুলে নিতেন,তাদের আদর করতেন।
তারপর সন্ধ্যাবেলায় শিশুরা যখন চলে যেতো, তখন তার
মন ব্যথায় ভরে উঠতো।তিনি শিশুদের কিছুতেই কাছ ছাড়া
করতে চাইতেন না।১৯৩৮খ্রিস্টাব্দে একজন শিশু এসেছে।তার হাতে ছিল একটা লাল গোলাপ।জওহললাল নেহেরু শিশুটাকে কোলে তুলে নেন।ছেলেটা তার জ্যাকেটের পকেটে সুন্দর একটা লাল গোলাপটা গুঁজে দেন।জওহরলাল নেহেরু শিশুটাকে চুম্বনে ভরিয়ে দেন।তারপর তিনি তাকে পরম স্নেহে জড়িয়ে ধরে বলেন---আজ থেকে আমার এই জ্যাকেটে পিন দিয়ে আঁটা থাকবে একটা করে লাল গোলাপ।সেই থেকে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু তার জ্যাকেটে একটা করে লাল গোলাপ রেখে দিতেন।
১৯৬৪খ্রিস্টাব্দের ২৭মে জওহরলাল নেহেরু মারা যান।
ঐ বছর ১৪নভেম্বর ভারতসরকার এই দিনটাকে প্রথম শিশুদিবস হিসাবে ঘোষণা করেন।বিশ্ব শিশুদিবস ২০শে নভেম্বর।এর আগে
ভারতে শিশুদিবস হিসাবে ২০শে নভেম্বর পালন করা হতো।
১৪ই নভেম্বর তাই জাতীয় শিশুদিবস।সারা ভারতবর্ষে যথাযথ
মর্যাদার সাথে এই দিনটা পালন করা হয়।শিশুরা এইদিন
নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।তারা আনন্দে এই দিনটা কাটায়।
এই দিনটা পালনের উদ্দেশ্য শিশুদের শিক্ষা এবং কল্যাণ সম্পর্কে
সচেতনতা বাড়ানো।শিশুদের হৃদয় নিষ্পাপ।সেদিন জওহরলাল
নেহেরুকে শিশুটার দেওয়া লাল গোলাপটা ছিল নিষ্পাপ হৃদয়ের
প্রতীক।আজ এই নিষ্পাপ  শিশুরা সমাজে নানাভাবে
দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।কেউ শিক্ষা পাচ্ছে আবার কেউ পাচ্ছে না।কেউ বা শিশু শ্রমিক হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।কেউ বা ট্রেনে বা বাসে ভিক্ষে করছে।কারো রাত কাটে ফুটপাতে।কারো শীতে বস্ত্র নেই।দেশের সকল শিশু যেদিন অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান এবং
শিক্ষা পাবে, সেদিনই শিশুদিবস পালন সার্থক হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment