জানা অজানা — নতুনপাতা
শতবছরের আয়ুর দেশ
তপন কুমার বৈরাগ্য
পৃথিবীর মধ্যে খুব সুন্দর একটা দেশ গ্রিসের ইকারিয়া।যেন
প্রকৃতির রানি।ছোট্ট একটা দ্বীপ।যাকে পাথুরে দ্বীপ বলা হয়।
এজিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত এই দেশটা ।এখানে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়।যে জলবায়ুতে শীতকালে
বৃষ্টিপাত হয়।গ্রীষ্মকাল শুষ্ক থাকে।ইকারিয়ার অধিকাংশ মানুষ
শত বছর বা তার বেশি বাঁচেন।শত বছরের বৃদ্ধ বৃদ্ধারাও কর্মক্ষমে
সক্ষম।তারা শত বছরে পদর্পণ করেও নিয়মিত শরীরচর্চা করে
যান।এখানকার খাদ্যাভাস,শরীরচর্চা,সক্রিয় জীবনযাপন,
শান্ত সুরক্ষিত সমাজ মানুষদের দীর্ঘজীবন দান
করেছে।এখানকার মানুষের মানসিক চাপ নেই বললেই চলে।
চাপ থাকবেই বা কেন?এখানকার লোকেরা পড়াশুনার শেষে
যোগ্যতা অনুসারে চাকরী পায়। এখানকার মানুষেরা রোগে
ভোগে না বললেই চলে। এখানে প্রত্যেক মানুষের বাড়িতেই
ধ্রুপদী সংগীতের চর্চা আছে।সবসময় আনন্দে থাকে এখানকার
মানুষেরা।পৃথিবীর মধ্যে এজিয়ান সাগরের বাতাস সবচেয়ে
নির্মল এবং স্বাস্থ্যকর।এই বাতাস এরা নিত্য সেবন করে চলেছেন।
ছোটবেলা থেকেই এখানে সকলেই খেলাধূলা ও ব্যয়ামে অভ্যস্ত।
এখানকার মানুষের দীর্ঘ জীবনের আরেকটা কারণ শিম।এই
দেশের লোকেরা বারোমাস এই শিমের চাষ করে।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাদের শিম থাকবেই।এই শিম তাদের
দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাছাড়া এই দ্বীপে
জন্মায় জলপাই,জুনিপার প্রভৃতি স্বাস্থ্যকর ফল।এই ফলও তাদের
কাছে প্রিয় স্বাস্থ্যকর খাদ্য।তবে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই শিম তাদের
জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান।
দেশটায় আছে কর্ক,ওক,লরিয়ার,সিডিয়ার,পাইন নামক সতেজ
সবুজ গাছ।যে গাছগুলো দেশটাকে সবুজে সাজিয়ে তুলেছে।
দেশটায় চলে পরিবেশ দূষণহীন যানবাহন। এই দেশের লোকেরা
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন।তাই তাদের নেই মানসিক চাপ।
আছে আনন্দমুখর জীবন,আছে সুন্দর আনন্দের জীবন,আছে
তাজাফল,শাকসবজী,তার সাথে শরীরচর্চা।আর তাদের অমৃত সবজি শিম।
Comments :0