ঘৃণা ভাষণের তদন্ত এতটুকু এগোয়নি। বিদ্বেষের ভাষণ বন্ধ করার দায় শেষ পর্যন্ত সরকারেরই। দিল্লিতে ঘৃণা ভাষণের সংগঠিত প্রচারের মামলায় এই মর্মে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
দিল্লি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই দিল্লি পুলিশকেই ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের গৃহীত পদক্ষেপের বিশদ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাদীন বেঞ্চ।
২০২১’র ডিসেম্বরে ‘হিন্দু যুবা বাহিনী’ নামে একটি সংগঠন ‘ধর্ম সংসদ’ আয়োজন করে। বিভিন্ন রাজ্যেই এই সংগঠিত প্রচার হয়েছে। হয় দিল্লিতেও। সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানানো হয় প্রকাশ্যে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বিভিন্ন অংশ অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট করেছে আদালতই। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘ঘটনার ৫ মাস বাদে দায়ের হয়েছে এফআইআর। তার আট মাস পরেও কোনও চার্জশিট দাখিল হলো না।’’
ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের অপর বেঞ্চ কড়া সমালোচনা করেছে সংবাদমাধ্যমেরও। বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্নের বেঞ্চ বলেছে, ঘৃণা ভাষণ সমাজের পক্ষেই বিপদ। সংবাদমাধ্যমে টিআরপি’র লড়াইয়ে অসংযত কথা বলা চলছে। আমাদের দরকার মুক্ত এবং ভারসাম্য সম্পন্ন সংবাদমাধ্যম।
Comments :0