Haryana Election CPIM

জাত-বাগী-আপ, তিন কারণে হরিয়ানায় হার দেখছে সিপিআই(এম)

জাতীয়

জাতভিত্তিক সূক্ষ্ম সমীকরণ প্রয়োগ করেছে বিজেপি। খুব অল্প ব্যবধান হলেও এই কৌশল কাজে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর দলের। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের ভোট কেটে নেওয়াও হরিয়ানায় বিজেপি’র জয়ের অন্যতম কারণ।
ভোটের শতাংশ প্রায় এক হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির ১১ টি বাড়তি আসনের কারণ বিশ্লেষণ করে এই অভিমত জানালো সিপিআই(এম) হরিয়ানা রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী। 
হরিয়ানায় সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সুরেন্দ্র সিং বলেছেন, “বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’দলেরই ভোটের হার প্রায় সমান। হরিয়ানার জয় নিয়ে বিজেপি যেভাবে প্রচার করছে তা আদৌ বাস্তব নয়। রাজ্যের ষাট শতাংশের বেশি মানুষ বিজেপি’র বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।” 
উল্লেখ্য হরিয়ানায় বিজেপি পেয়েছে ৩৯.৯৪ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস একাই পেয়েছে ৩৯.০৯ শতাংশ ভোট। কিন্তু ৯০ আসনের বিধানসভায় বিজেপির আসন ৪৮, কংগ্রেসের ৩৭। 
ভিওয়ানি কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী ওম প্রকাশকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস। প্রার্থীকে সমর্থনের জন্য তার প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য এই কেন্দ্রের জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)। 
সিপিআইএম বলেছে কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। এই বিক্ষুব্ধ বা ‘বাগী’-রা বিজেপি বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়েছেন।
রাজ্যে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা শেষ পর্যন্ত হয়নি। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন, “আমাদের মনে হয়েছে ইন্ডিয়া মঞ্চের দলগুলির মধ্যে সুসমন্বয় এবং আসন সমঝোতার দরকার ছিল। ভবিষ্যতে বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশা করছি।” 
হরিয়ানার ফলাফল বিশ্লেষণের পর কংগ্রেস ১৩ টি আসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এর মধ্যে ১২টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। 
সিপিআইএম বলেছে, ভোট প্রক্রিয়া এবং গণনা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না। গণতন্ত্রের পক্ষে এই প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

Comments :0

Login to leave a comment