Jalpaiguri DM

ব্রিগেডের পথে: বিক্ষোভে অচল জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দপ্তর

জেলা ব্রিগেড

জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরের মূল গেট ঘিরে রেখে বিক্ষোভ।

আশা, আইসিডিএস, মিড-ডে-মিল সহ বিভিন্ন প্রকল্প কর্মীদের আন্দোলন ঘিরে অচল হলো জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তর। শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে জেলাশাসকের দপ্তর। আহত হন এক আইসিডিএস কর্মী। 
২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ সহ চার সংগঠন। জীবনজীবিকার সমস্যা নিয়ে সব স্তরে বিক্ষোভ করার লক্ষ্যও জানানো হয়েছে। সেই অভিমুখেই এদিন হয়েছে বিক্ষোভ। 
এদিন জেলাশাসকের দপ্তরের মূল গেট ঘিরে রেখে চলে বিক্ষোভ। প্রকল্প কর্মীদের স্থায়ী সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি এবং মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২৬,০০০ টাকা, মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা পেনশন, মা ও শিশুর পুষ্টি,  জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পুনর্গঠন, ওষুধ, খাদ্য, সমস্ত প্রকল্প কর্মীদের আইন অনুযায়ী বোনাস, মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে দশ মাস নয়, বারো মাসের মজুরি দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসক দপ্তর অভিযান করেন সিআইটিইউ অনুমোদিত আশা, আইসিডিএস, মিড ডে মিল কর্মীরা।  
শুক্রবার শহরের মাদ্রাসা ময়দান থেকে মিছিল করে থানা মোড় হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছান প্রকল্প কর্মীরা। মিছিল যাতে কোনোভাবেই জেলাশাসক দপ্তরের ঢুকতে না পারে তার জন্য দপ্তরের গেট আটকে দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রকল্প কর্মীরা জোর করে জেলাশাসকের দপ্তরে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। একজন আন্দোলনকারী আহত হন। 
দুই ঘন্টার বেশি সময় জেলাশাসকের দপ্তরের গেটের সামনের রাস্তা আটকে বসে থাকেন আশা, আইসিডিএস, মিড ডে মিল কর্মীরা। অবশেষে দশজনের প্রতিনিধি দলকে ডেকে কথা বলেন জেলাশাসক।  
বিক্ষোভে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রকল্প কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। মা ও শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিসেবায় নিরলস অমানসিক পরিশ্রম দিয়ে চলেছেন প্রকল্প কর্মীরা। অথচ দৈনন্দিন জীবন ও পেশায় বহুমুখী সমস্যা ও বিপদের সম্মুখীন তাঁরা। 
মিড ডে মিল কর্মীরা মাসিক মাত্র ২,০০০ টাকা, আশা কর্মীরা মাসিক মাত্র ৪,৫০০ টাকা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা মাসিক মাত্র ৭,৫০০ টাকা ভাতায় কাজ করছেন। অসম্মানজনক শর্তে কাজ করানো হচ্ছে। প্রকল্প কর্মীদের কাজ বাড়লেও ভাতাবৃদ্ধিতে নীরব সরকার। ফলে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে প্রকল্প কর্মীদের জীবন তীব্র সঙ্কটে। এবারের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটে প্রকল্প কর্মীদের কথা ভাবা হয়নি। 
বিক্ষোভে ছিলেন চুমকি দাস, দেবযানী বসু, হীরামনি রায়, নেহার বেগম, লক্ষী ওঁরাও, মিঠু বোস সহ তিনটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। জেলার শ্রমিক নেতা পীযূষ মিশ্র, সন্তোষ রায়, কৃষ্ণ সেন, শুভাশিস সরকারও অংশ নেন বিক্ষোভে।

Comments :0

Login to leave a comment