UN GAZA INDIA

ভোট দিল না ভারত, গাজায় মানবিক ত্রাণের প্রস্তাব পাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘে

আন্তর্জাতিক

মানবিক ত্রাণের স্বার্থে এখনই গাজায় সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন দিল না ভারত। পরোক্ষে থাকল ইজরায়েলের পাশে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই মর্মে প্রস্তাব পেশ করেছিল জর্ডন। পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে ভারতও সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ভারতের অবস্থানের কড়া প্রতিবাদ শুরু হয়েছে দেশেই। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে জর্ডনের পেশ করা প্রস্তাবে বলা হয়, মানবিক ত্রাণের স্বার্থে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনকে এখনই সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। সংঘর্ষ বন্ধ করার অবস্থান নিতে হবে। সেই সঙ্গে সংঘর্ষে আইনি এবং মানবিক বিধি মেনে চলতে হবে। এই প্রস্তাবে ভোট নেওয়া হয়। ভারত মতদানে বিরত থাকে। ১৯৩ সদস্য দেশের সাধারণ পরিষদ এই প্রস্তাব যদিও সংখ্যাধিক্যের রায়ে গ্রহণ করেছে। ১২১টি দেশ সমর্থন করেছে, ভারতের মতো ৪৪টি দেশ মতদানে বিরত থেকেছে, ১৪টি দেশে সরাসরি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল মতদানের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। ভারতের পক্ষে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ ম্যালিগন্যান্ট। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এক ভৌগলিক সীমা থেকে আরেকটিতে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে কোনও যুক্তিতেই সমর্থন দেওয়া যায় না। মতভেদ সরিয়ে রেখে আমাদের উচিত সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পূর্ণ বিরোধিতার অবস্থান নেওয়া।’’

৭ অক্টোবর গাজার হামাস ইজরায়েলে হামলা চালানোর পর সন্ত্রাসবাদের যুক্তিতেই সরাসরি ইজরায়েলের যুদ্ধ অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে চাপের মুখে মোদীকে পিছিয়ে আসতে হয়। বিদেশ মন্ত্রককে বলতে হয় যে প্যালেস্তাইনের মুক্তির পক্ষে ভারতের অবস্থান দীর্ঘদিনের। সেই অবস্থান বজায় রয়েছে। কিন্তু, দখলদার রাষ্ট্র ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে অতীতে ভারত বা কোনও প্রধানমন্ত্রী সমর্থন জানাননি। সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইজরায়েলের বিরোধিতা থেকে বিরত থাকছে ভারত। সেই অবস্থান বজায় রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘে এই প্রস্তাবে অবিরাম সংঘর্ষের জন্য দায়ী করা হয়েছে ইজরায়েলকে। কারণ ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে নেমেছে ইজরায়েল। ৭ হাজারের বেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে প্যালেস্তাইনে। বোমা বর্ষণ হয়েছে হাসপাতালে, একেকদিনে পাঁচশোর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সারা বিশ্বে এই অমানবিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। 

Comments :0

Login to leave a comment