শনিবার আদালতে কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। শুক্রবার মাঝরাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই সংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন কৌস্তভ বাগচী। কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারই জবাব দিতে সাংবাদিক সম্মেলনে একটি বইয়ের কিছু অংশ পড়ে শুনিয়েছিলেন কৌস্তভ।
সরকার এবং পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করায় রাজ্যের বিরোধী আন্দোলনের ক্ষতি হয়নি। বরং রাজনৈতিক মোকাবিলার বদলে পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের দমানোর প্রবণতা ফের ধরা পড়েছে। তিনি যে দিল্লির নরেন্দ্র মোদীর মতই, বারবার দেখিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।’’ এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশোভন মন্তব্যের অভিযোগে আসামের বিজেপি সরকার পুলিশ পাঠায় দিল্লিতে। বিমানে ঢুকে পড়ে গ্রেপ্তার করা হয় খেরাকে। তিনিও দ্রুত জামিন পেয়ে যান।
পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্যের সংযোজন, ‘‘এর আগে যুবনেত্রী মীনাক্ষি মুখার্জিকে গ্রেপ্তার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছিল পুলিশ। বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে জেলে পাঠিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বিরোধীদের সহ্য করতে রাজি নয়। তবে রাজ্যকে জেলখানা বানানোর চেষ্টা হলে কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।’’
কৌস্তভ বাগচীর ঘটনা নির্দিষ্ট করে চক্রবর্তীর প্রশ্ন, যে বই রাজ্যে নিষিদ্ধ নয় বা সরকার তা নিয়ে কোনও অভিযোগ করেনি সে বইয়ের অংশ পড়ে শোনানো অপরাধ হবে কেন। রাত এগারোটায় কেউ অভিযোগ দায়ের করলেন কেউ। আর পুলিশ এত তৎপর যে সে রাতেই গ্রেপ্তারও করে ফেলল! চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘এখন তো মনে হচ্ছে কাউকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুরোটাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, যিনি নিজেই পুলিশমন্ত্রীও, তাঁরই নির্দেশে।’’
Comments :0