Nandakumar Cooperative Left

তৃণমূলের কোটি টাকা জলে, নন্দকুমারের সমবায়ে সব আসনে জয়ী বামপন্থীরা

জেলা

নন্দকুমার ব্লকের ভবানীপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ের পর বামপন্থী প্রার্থীরা।

রামশঙ্কর চক্রবর্তী: তমলুক,

কোটি টাকা খরচ করেও নন্দকুমারের সমবায় জিততে পারল না তৃণমূল। বামপন্থীদের বিপুল জয় হলো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের ভবানীপুর কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে। 
এই সমবায়ের মোট আসন ১২টি। সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন সমবায় বাঁচাও মঞ্চের প্রার্থীরা। ভোটে পরাজয়ের পর ‘বামপন্থীদের সঙ্গে বিজেপি’র জোট’ বলে অপপ্রচার শুরু করে তৃণমূল। পালটা প্রতিরোধ করেন সমবায় বাঁচাও মঞ্চের কর্মীরা। তাঁরা বলেন, এখানে এমন কোনও জোট নেই। তৃণমূল পরাজয় মানতে না পেরে অপপ্রচার করছে। সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার মানুষজন জানান, এই সমবায়ের নির্বাচনে বিগত ২৫ বছর ধরে জয়ী হচ্ছে বামপন্থীরা। তার আগে কংগ্রেসের দখলে ছিল সমবায়।
বামপন্থীদের পরাজিত করতে তৃণমূল গত এক সপ্তাহ ধরে পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন ভেট, খাবার বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ভবানীপুরের বাসিন্দারাই। এক সপ্তাহ ধরে দশ জায়গায় মাংস ভাতের আয়োজন চলেছে। বিতরণ হয়েছে কম্বল, উপহার দেওয়া হয়েছে নগদ টাকাও। যদিও একথা অস্বীকার করছে তৃণমূল। শাসকদলের এক নেতা বলেন, জেলার অনেক নেতা দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে, যাতে জয় হয়। তবে এটা ঠিকই যে প্রচারে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। 
এই সমবায় সমিতি নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের বোর্ডও পরিচালনা করে সিপিআই(এম)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর যাতে সিপিআই(এম) বোর্ড গঠন না করতে পারে তার জন্য পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সিপিআই(এম)’র জয়ী সদস্যদের গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল। বিরোধীশূন্য অবস্থায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের রায়ে পুনরায় বোর্ড গঠনের নির্বাচন হয়। জয়ী হয় সিপিআই(এম)। 
এলাকাবাসীরা বলেছেন, তৃণমূলের হাতে কোনোভাবেই গ্রামীণ সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। ওরা চুরি করে মানুষের সম্পদ লুট করবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment