নিঠারি কান্ডে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ঘটনার প্রধান দুই আসামীর ফাঁসির আদেশ রদ করার রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। ২০০৬ সালের দিল্লি লাগোয়া নিঠারির আশপাশের গ্রাম থেকে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হতে থাকেন। নিখোঁজ হয়েছিল আর্থিক ভাবে অনগ্রসর পরিবারের ছেলেমেয়েরা। শিশুদের নির্যাতন এবং হত্যায় সুরেন্দর কোলি এবং মণীন্দ্র সিং পান্ধেরের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত।
নিখোঁজ শিশুদের দেহাংশ মিলেছিল নয়ডায় পান্ধেরের বাড়ির পাশের নালা থেকে। তদন্তে নেমে পান্ধেরের ওই বাড়িতে গৃহ সহায়ক ছিল সুরিন্দর। তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে নামে সিবিআইও। ২০০৬’র ডিসেম্বরে ঘটনা সামনে এসেছিল।
দোষীদের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার কারণে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায় আদালতে। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে কোনোটিতে ফাঁসি তো কোনোটিতে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ১২ টি মামলায় ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোলিকে এবং পান্ধেরেকে দু’টি মামলায় ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।
নিম্ন আদালেতর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কোহলি। এদিন ফাঁসির সাজা রদ করার রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র এবং বিচারপতি এসএইচএ রিজভি’র ডিভিসন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাদের ফাঁসির সাজা রদ করা হচ্ছে। তবে ফাঁসির সাজা রদ হলেও এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না কোলি। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা আজীবন কারাদণ্ডের রায় রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন আদালতের রায়ের কপি দেখা পর তারা তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
কোলির বিরুদ্ধে যে ছয়টি মামলা চলছি তার একটি সিবিআই’র, বাকি মৃত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের। শিশু হারানো অতি নিম্নবিত্ত পরিবার মামলার খরচ চালানো কঠিন ছিল।
Comments :0