Sujan Chakrabarty

বৈধ কারও, মতুয়াদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না: সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য

সোমবার বারুইপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে সুজন চক্রবর্তী। ছবি ও ভিডিও: অরিজিৎ মণ্ডল

প্রতীম দে: বারুইপুর

কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না তালিকা থেকে। বাদ দেওয়া যাবে না মতুয়া সম্প্রদায়ের বৈধ ভোটদাতাদের নাম। এসআইআর নিয়ে এমন চেষ্টা হলে প্রয়োজনে রাস্তায় লড়াই হবে। আইনি লড়াই হবে। বারুইপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ' ঠাকুরনগরে মতুয়ারা অনশন করছেন। ২৪ জন মানুষ এসআইআরের বিরোধিতায় মানুষ অনশন করছেন। তাদের লড়াইয়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা গিয়েছিল। আগামীকাল ফের যাবেন পলাশ দাস, শতরূপ ঘোষরা। কিন্তু বিজেপি তৃণমূলের কোন প্রতিনিধি সেখানে এখনও যায়নি। গরিব মানুষ বলে কি তারা ব্রাত্য?' ওই অনশনে অংশ নেওয়া ১২ জন ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। 
চক্রবর্তী বলেন, ' মতুয়াদের লড়াই, সমাজে তাদের অধিকারের জন্য। ওদের দাবি এসআইআর করে তাদের বাংলাদেশী বলা যাবে না। বিজেপি আর কমিশন বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা খুঁজতে গিয়ে গরীব মানুষের ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে।'
উল্লেখ্য ২০০২ সালে যখন রাজ্যে এসআইআর হয়, সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন কোন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল না। মতুয়াদের মধ্যেও কোন আতঙ্ক ছিল না। সেই প্রসঙ্গ এদিন উঠে এসেছে সুজন চক্রবর্তীর কথায়, মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি। 
চক্রবর্তী বলেন, ঠাকুরবাড়িতে রাজনীতি ঢুকিয়েছে তৃণমূল। ভাগ করেছে মতুয়া সমাজকে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ২০০২ এর তালিকা শুধু নয়, ২০১৯, ২০২১, ২০২৪ এর তালিকাকেও যুক্ত করতে হবে। যেই মতুয়ারা সেই সময় ভোট দিয়েছিলেন তাদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। 
তিনি অভিযোগ করেন, সিএএ ক্যাম্প করে টাকা লুঠছে বিজেপি।
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, মনুবাদের ঘোষিত নীতি মুসলমানদের বিরোধিতা করা। আর অঘোষিত নীতি হলো মতুয়া, আদিবাসী, দলিতদের বিরোধিতা করা। 
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ২০০৩ সাল থেকে বিজেপি অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজনীতি করছে। বাসুদেব আচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী, প্রশান্ত চ্যাটার্জিরা বারবার চিঠি দিয়েছে এই মনোভাবের বিরুদ্ধে। 
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবে সিপিআই(এম) এর একটি প্রতিনিধি দল। চক্রবর্তী বলেন, বিএলও এবং বিএলএ দের নিরাপত্তার কথা প্রথমদিন বলে এসেছিলাম আমরা। সেই বিষয়ে কতদূর এগোল তা জানতে চাওয়া হবে। তার সাথে মৃত এবং ভুতুড়ে নাম বাদ দেওয়ার দাবিও ফের জানানো হবে।
ফল তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এস আই আর প্রক্রিয়ায় একাধিক মৃত ভোটারের ফরম জমা দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল একটি অ্যাপ বানিয়ে ভুতুড়ে এবং মৃতদের নাম রক্ষা করতে চাইছে কমিশনকে অবিলম্বে এই অ্যাপ বন্ধ করার নির্দেশ জারি করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment