Calcutta HC OBC Verdict

ওবিসি নিয়ে হাইকোর্টের রায় ও কিছু কথা

উত্তর সম্পাদকীয়​

দেবেশ দাস 

গত ২২ মে  পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৮০টি অনগ্রসর শ্রেণির (other backward classes -OBC) মধ্যে ১১৪টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকা থেকে বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদের বাতিলের দাবিতেই হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এতে এই ১১৪টি জাতের শংসাপত্র নিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পড়ছেন, তাদের চাকরি যাবে না বা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না, কিন্তু এই শংসাপত্র নিয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষা বা চাকরি ক্ষেত্রে আর কোনও সংরক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে না। হাইকোর্টের এই রায়ে পশ্চিমবঙ্গে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ১৭ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ৭ শতাংশের মধ্যে ৬৬টি সম্প্রদায় আছে যেগুলি ২০১০ সালের আগে চালু হয়েছিল। যে ১১৪টি সম্প্রদায় বাদ হয়ে গেল তার মধ্যে  ইসলাম ধর্মাবলম্বী ১১০টি সম্প্রদায় আছে। ১১৪টির মধ্যে বামফ্রন্টের আমলে ৪২টি সম্প্রদায় নির্দিষ্ট হয়েছিল (তার মধ্যে ৪১টি সম্প্রদায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী)। 
১৯৮০ সালে মণ্ডল কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে  কিছু জাতের কথা বলা হয়েছিল, যাদের  উপর তফসিলি জতি (এসসি) ও আদিবাসী (এসটি)-এর মতো সামাজিক নিপীড়ন, অত্যাচার না থাকলেও সামাজিক বৈষম্য আছে, যে  বৈষম্যের কারণে এই জাতিগোষ্ঠীগুলি সামজিক ও শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছিল, এরাই অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি। মণ্ডল কমিশন অনুযায়ী ওবিসিদের জনসংখ্যা ৫২ শতাংশ। এই ৫২ শতাংশের হিসাব এসেছে ১৯৩১ সালের জনগণনার রিপোর্ট থেকে, তখন জনগণনার সাথে বিভিন্ন জাতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থা ও তাদের সংখ্যার হিসাবও দেওয়া হতো। এই ৫২ শতাংশের মধ্যে ৮.৪ শতাংশ হিন্দু ধর্মের বাইরের লোকও আছে। এই ৮.৪ শতাংশের মধ্যে মুসলমান অনগ্রসরদের সংখ্যা দাড়ায় মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশ। 
১৯৯০ সালে ভি পি সিং প্রধানমন্ত্রীর আমলে মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টকে সামনে নিয়ে এসে তাকে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর ১৯৯২ সালে নরসিমা সরকারের আমলে ওবিসি’র জন্য অর্থনৈতিক ভিত্তিতে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়।  এই ওবিসি তালিকাভুক্ত কারা হবেন, তা রাজ্যগুলিকে ঠিক করতে বলা হয়। 
২০০৪ সালের অক্টোবরে প্রথম ইউপিএ সরকার রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন গঠন করে, যার কাজ ছিল—  ভাষা ও ধর্মভিত্তিক সংখ্যালঘুদের  মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের চিহ্নিত করা ও তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্বন্ধে কী করা দরকার তা সুপারিশ করা। ২০০৫ সালের মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত রিপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য সাচার কমিটি তৈরি করে। 
২০০৬ সালের নভেম্বরে সাচার কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করে তাতে দেখা যায় যে  মুসলিমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত, সব ক্ষেত্রেই দারুণভাবে পিছিয়ে আছে। ২০০৭ সালের মে মাসে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন রিপোর্ট পেশ করে, এই রিপোর্টে ভাষা ও ধর্মভিত্তিক সংখ্যালঘুরা সারা দেশে পিছিয়ে থাকার কথা বলা হয় ও তাদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশে  মুসলিমদের জন্য ৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়। 
১৯৯২ সালে সারা দেশে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ চালু হলে, পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি কারা তা জানতে ১৯৯৩ সালে একটা আইন করে একটা কমিশন তৈরি হয়। এই কমিশন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে মোট ৬৬টি গোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকাভুক্ত করে। এই ৬৬টি গোষ্ঠীর জন্য ৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়। পরে এই ৬৬টির মধ্যে ১টি বাদ গেছে। এই ৬৬টি গোষ্ঠীর মধ্যে ১২টি ইসলাম ধর্মাবলম্বী।  
রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশের পর, পশ্চিমবঙ্গের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস কমিশন নতুন করে অনগ্রসরদের সন্ধান করার জন্য একটি সমীক্ষা টিম প্রস্তুত করে।  তাদের সমীক্ষার ভিত্তিতে মোট ৪২টি গোষ্ঠী ওবিসি হিসাবে চিহ্নিত হয়, তার মধ্যে ৪১টি গোষ্ঠী মুসলিম সমাজের মধ্যে পড়ে। বামফ্রন্ট সরকার মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের ঘোষণা করে এবং ওবিসিদের মধ্যে দুটো ভাগের কথাও বলে, ওবিসি-এ ও ওবিসি-বি। কিন্তু এই ব্যাপারে কোনও আইন তৈরি করার সুযোগ বামফ্রন্ট পায় না, কারণ তার আগেই বামফ্রন্ট চলে গিয়ে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 
২০১২ সালে তৃণমূল সরকার আরও ৩৫টি গোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১২ সালে তৃণমূল সরকার একটি আইন নিয়ে আসে  যে আইনে লেখা হয় যে সরকারি আদেশেই যে কোনও গোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করা যাবে, যার মানে ওবিসি খুঁজে বার করতে আর কোনও সমীক্ষা করা হবে না। এই আইনের পর মোট ৩৭টি গোষ্ঠীকে সরাসরি ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করা হয় সরকারি আদেশে। গত ২২ মে হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে যে মোট ১১৪টি (৪২+৩৫+৩৭)  গোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে  ঘোষণা করা হয়েছে তার সবটাই বাতিল করে। এর পিছনে বিচারকদের বিভিন্ন যুক্তিগুলি বলা হলো: (১) একদম শেষের পর্যায়ের সমীক্ষায় ৩৭টি জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে তো সরাসরি সরকারি আদেশেই ওবিসি ঘোষণা হয়েছে, সমীক্ষার প্রশ্নই সেখানে নেই।  (২) দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষায় যে ৩৫টি জাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার সম্বন্ধে বিচারকরা বলেছেন যে ১৬টির ক্ষেত্রে কোনও সমীক্ষাই হয়নি। (৩) দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষায় ৩৫টির মধ্যে ১৯টি ও প্রথম পর্যায়ের ১৪টি, এই মোট ৩৩টি ক্ষেত্রে সমীক্ষা হয়ে থাকলেও, কতজনের মধ্যে তা হয়েছে তা জানা যায়নি। (৪) প্রথম পর্যায়ের ১৪ জনের  ক্ষেত্রে কতজনের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছে তা জানা গেলেও সেই জাতের মোট জনসংখ্যা জানানো হয়নি, ফলে কত শতাংশের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছে তা জানা যাচ্ছে না। (৫) প্রথম পর্যায়ের  কিছু ক্ষেত্রে কতজনের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছে ও সেই জাতের মোট জনসংখ্যা জানানোও হয়েছে সেখানে ১২টি ক্ষেত্রে মোট জনসংখ্যার খুব কম অংশের সমীক্ষা হয়েছে (১ থেকে ৫ শতাংশ)। (৬) প্রথম পর্যায়ের ১টি ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক সমীক্ষা হয়েছে তাই সন্দেহজনক। (৭) প্রথম পর্যায়ের ১টি ক্ষেত্রে কতদিন ধরে সমীক্ষা হয়েছে তা জানানো হয়নি। 
বিচারকদের আরেকটি বক্তব্য যে  ২০১০ সালে এই রাজ্যে মুসলিম ওবিসিদের নিয়ে প্রথম সংরক্ষণের  সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, মুসলিমরা যে অনগ্রসর তার ভিত্তি হচ্ছে ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্ট। ২০১০ সালের পদক্ষেপের সময়ে ২০০৬ সালের রিপোর্ট পুরানো (outdated)  হয়ে গেছে।  
বিচারকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। আমাদের কাছে শেষ জাতগণনার তথ্য আছে ১৯৩১ সালের। তাও সেটা হিন্দুদের মধ্যে। হিন্দুদের ওবিসিদের ১৯৩১ সালের হিসাব ধরে নিয়ে আজকে তাদের আনুমানিক জনসংখ্যার হিসাব করার সুযোগ আছে, কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন জাতের জনসংখ্যা কত, সেটা জানার কোনও সুযোগ নেই। এমনকি মুসলমানদের মধ্যে কোন কোন জাত অনগ্রসর ছিল, তাও ১৯৩১ সালের জনগণনাতে বলা নেই। ফলে মুসলমান কোনও জাতের জনসংখ্যা পাওয়া সহজ নয়, আর কিভাবে তা পাওয়া যাবে? 
 কয়েকটি জাতের ক্ষেত্রে কোনোভাবে মোট জনসংখ্যা পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে বিচারকরা বলেছেন, যত জনের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়।  বিশ্বে রাশিবিজ্ঞান বলে একটা বিজ্ঞানের শাখার জন্ম দেওয়ার পিছনে ছিলেন আমাদের দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ। রাশিবিজ্ঞানীদের মতে, এর থেকে আরও কম শতাংশের লোকের মধ্যে সমীক্ষা করেও আসল চিত্র পাওয়া সম্ভব। আমাদের রাজ্যেও সমীক্ষা করে এই রকম ৬৬টি জাত ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১০ সালের আগে, তা নিয়ে কেউ আপত্তি করেনি, আদালতে মামলাও হয়নি। কত শতাংশে সমীক্ষা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে? 
বিচারকরা বলেছেন ২০০৬ সালের  সাচার কমিটির রিপোর্ট ২০১০ সালে পুরানো হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে ১৯৩১ সালের রিপোর্ট তো আরও পুরানো, যার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ওবিসিদের বাছাই শুরু হয়েছিল সারা দেশে। ১৯৩১ সালে যে সমস্ত জাতকে অনগ্রসর বলা হয়েছিল, তাদের নিয়ে সমীক্ষা করেই বিভিন্ন রাজ্যে যদি কিছু  জাত ওবিসি তালিকাভুক্ত হতে পারে, সেক্ষেত্রে ২০০৬ সালের রিপোর্ট ২০১০ সালে গ্রহণ করাটা পুরোপুরি ভুল?  
 কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হতে পারে, তার জন্য পর্যাপ্ত সমীক্ষা হতেই পারে, কিন্তু কোনও একটি জাতের সমস্ত লোকদের যদি তথ্য নেওয়া যায়, সেটা তো সবচেয়ে ভালো।  কিন্তু সেটাকে আর সমীক্ষা বলে না, জাতগণনা বলে। এটা নিয়ে মনে হয় সকলেই একমত হবেন যে যে ১৯৩১ সালের রিপোর্ট যথেষ্ট পুরানো। সেক্ষেত্রে আপনাকে বলতে হবে যে নতুন করে গণনা করা হোক। সেটাই জাতগণনা। জাতগণনা হলে মুসলমানদের মধ্যে  জাতগুলির অবস্থাও সমীক্ষায় আসা দরকার। আর তার ভিত্তিতেই হিন্দু-মুসলমান সহ সকলের মধ্যেই, কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হবে , কারা তালিকা থেকে বাদ যাবে, সেটা ঠিক হওয়া কাম্য। 
জাতগণনার দাবিটা দীর্ঘদিনের। ২০১১ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার জাতগণনা  করে।  ইউপিএ সরকার ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল এই  তিন বছর সময় পেয়েও এই রিপোর্ট বার করেনি,  তারপরে বিজেপি সরকার গত ১০ বছরে এই রিপোর্ট প্রকাশ  করেনি। তবে বর্তমানে কংগ্রেস দল থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।    
বিজেপি সরকার জাতগণনা চায় না বা তার রিপোর্ট প্রকাশ করতে চায় না। হয়তো পিছিয়ে পড়া কোনও জাতের কথা তথ্য দিয়ে জানালে, তার সম্বন্ধে কিছু করার দাবি উঠবে, বিজেপি তা করতে চায় না। কোনও জাতের জন্য কী করা হবে, তা বিজেপি তার মনুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঠিক করতে চায়, কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর ভরসা করে নয়। জাতগণনা হলে মমতা ব্যানার্জিরও খুব অসুবিধা হবে, কারণ কোন জাত পিছিয়ে, কোন জাত এগিয়ে, কোন জাত  ওবিসিভুক্ত হবে, কোন জাত হবে  না, তা তিনি নবান্নে বসে ঠিক করতে চান, কোনও সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা সার্বিকভাবে জাত গণনা হলে তার নিজের কর্তৃত্ব আর থাকে না। বিজেপি ও তৃণমূল বাদে কংগ্রেস, বামপন্থী, সমাজবাদী দল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জাতগণনার পক্ষে বলেছে।

২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে বিভিন্ন বক্তৃতায় মোদী বলেছেন যে তিনি মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের বিরোধী। ভোটের ফলাফলের পর সরকার বাঁচাতে তাকে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। এই দুটি নামই মুসলমানদের ব্যাপারে খুব প্রাসঙ্গিক। নীতীশ বিহারে আলাদা করে জাতগণনা করে বসে আছেন। তার রিপোর্টে দেখা গেছে যে মুসলিমদের মধ্যেও জাতবিভাগ আছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তো বটেই, সামাজিক ক্ষেত্রেও মুসলমানরা সকলেই সমান নয়, আর তাদের সংখ্যাগরিষ্ট অংশই অতি পশ্চাৎপদ। আবার ওদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর অন্ধ্রে মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ চালু আছে এবং চন্দ্রবাবু নাইডু তা রাখার পক্ষেই বলে চলেছেন।  
কোন পথে সমাধান? 
সংবিধানের ১৫ নং ধারা অনুযায়ী যারা সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়েছে, তাদের জন্য সরকারের কিছু করা কর্তব্য। হিন্দুদের মতো ভারতে মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মেও জাতের ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়ার ঘটনা আছে।  কারা কতটা পিছিয়ে পড়েছে, তা কিভাবে ঠিক হবে? রাশিবিজ্ঞান অনুযায়ী, সমীক্ষা সেখানে অবশ্যই একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। তবে সমীক্ষার চেয়েও ভালো জাতগণনা করা। সবচেয়ে ভালো হয় সারা দেশেই সেটা হলে। বিহারে আলাদা করে হয়েছে। তামিলনাড়ু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কী করলে ভালো হয়?  

Comments :0

Login to leave a comment