প্রবন্ধ
গাজনের বাজনা বাজা, কে মালিক? কে সে রাজা?
কৃশানু ভট্টাচার্য্য
মুক্তধারা
ঝড়ের একটা নিজস্ব ব্যাকরণ আছে। সে ব্যাকরণ আমাদের চলতি নিয়মের অনেকটাই বাইরে। আর তাই চলতি নিয়ম দিয়ে এসে ঝড় কে ধরতে গেলে বারে বারে ভুল হয়। আসে বিপর্যয়। হয় প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি। আবার তার মধ্য দিয়েই জন্ম নেয় এক নতুন ভোর, এক নতুন সৃজন।
নির্যাতন নিষ্পেষণের গুমোট আবহাওয়া যখন মানুষকে স্তব্ধ করে তখন সেই মানুষের ভিতরে তৈরি হয় গভীর নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপই একসময় জন্ম দেয় এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের। ঝড়ের ডানায় সংগ্রামের ঠিকানা অমোঘ ভাবেই লেখা। আর সেই কারণেই সংগ্রামের সঙ্গে ঝড় যেন অঙ্গাঙ্গী সুরে বাঁধা। বহু মানুষের হৃদয়ের ঝড় যখন এক সুরে বাঁধা পড়ে তখনই তীব্র হয় সংগ্রাম। ঝড় কেও যেমন আগাম বোঝা যায় না তেমনি বহু সংগ্রামের ইঙ্গিত আগে থেকে টের পাওয়া কঠিন।
সেনাবাহিনী থেকে পদচ্যুত সৈনিক তার মনের গভীরে তোলা সেই ঝড়কে একটি তীব্র স্বরে পরিণত করেছিলেন। সেই স্বর আবার বহু মানুষের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। বহু মানুষের মনের গভীরে সে সময় গড়ে ওঠা ঝড় এই বাংলা এই দেশের কোনে কোনে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়েছিল কারাগারের অন্তরালে, ছড়িয়ে পড়েছিল মাঠে ময়দানে , কুলি মজুরদের ঘরে। সৃষ্টি করেছিল বিপ্লবের, বিদ্রোহের। এক থেকে অনেকজন হয়ে উঠেছিল সেই সময়। আওয়াজ উঠেছিল সাম্যের পক্ষে, বৈষম্য আর ঘৃনার বিরুদ্ধে।
আজ এই দেশে জাত পাত আর ধর্মের ভেদাভেদের পুনরুত্থানের সময়ে আবার বিপ্লব আসুক, ঝড় উঠুক , ভেঙে যাক অচলায়তন।
Comments :0