মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জাল স্যালাইনে গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতিকে এবার কলকাতা স্থানান্তরিত করা হতে পারে। রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল চত্বরে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে রওনা যদিও এখনও হয়নি অ্যাম্বুল্যান্স। তবে জানা গিয়েছে নিয়ে আসা হতে পারে কলকাতার এসএসকেএম-এ।
এই তিন প্রসূতিকেই আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। কিন্তু উন্নত মানে চিকিৎসার জন্য তাঁদেরকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্ধ্যাতেও মেডিক্যাল কলেজ চত্বরেই রয়েছে ছাত্র-যুব-মহিলা নেতৃবৃন্দ। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা জানান সন্ধ্যায় বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকাল থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রয়েছি। প্রথমে সিএমওএইচর’ সঙ্গে কথা বলতে যাই। পরবর্তীতে যখন আমরা আইসিইউ ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলতে যাই। তাঁরা আমাদের সাথে কথা বলতে চাননি। আমরা অপেক্ষা করতে থাকি পরিবারের লোকেদের জন্য। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে তাঁরা জানেনই না রোগীদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হবে।’’
ধ্রুবজ্যোতির প্রশ্ন, আমরা বুঝতে পারছি না হাসপাতালে কেন এত পুলিশ থাকবে। পরিজনদেরই বা আগে থেকে জানানো হবে না কেন। আমরা তাঁদের সর্বাত্মক সাহায্য করার জন্য আছি। কলকাতায় আমাদের কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন।’’
পুলিশ এবং প্রশাসন দোষীদের আড়াল করতে চাইছে, এই অভিযোগও তুলেছেন ছাত্র-যুব এবং মহিলা নেতৃবৃন্দ।
রবিবার সকালেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে পৌঁছান ডিআইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস সহ ছাত্র যুব নেতৃবৃন্দ। সকালেই তাঁরা সিএমওএইচ দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মীনাক্ষী বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকার আসীন থাকলে এতক্ষণে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হতো। এর আগে আরজি করের ঘটনায় দোষী সন্দীপ ঘোষকে সমানে আড়াল করেছে রাজ্য প্রশাসন।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর তিন প্রসূতি মাম্পি সিং (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯) ও মিনারা বিবি (৩১)-কে আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতায় এসএসকেএম-এ পাঠানো হচ্ছে। গ্রিন করিডর করে তাঁদের নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। জানা যাচ্ছে, একটি অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ হওয়ায় কলকাতা থেকে আরেকটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে কলকাতায় এসএসকেএম-এ এদিন সন্ধ্যা ছটা নাগাদ স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষ বৈঠক হয়েছে।। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আলোচনা হয়েছে ওই তিন প্রসূতির চিকিৎসা নিয়ে।
Comments :0