Ranigunj TMC

চোরাকারবারের রমরমা তৃণমূলের আমলে

ফিচার পাতা

দেবদাস ভট্টাচার্য


রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের ধস-গ্যাস-আগুনের বিপন্নতা নিয়ে ‘উদ্বেগ’ ওঁর মুখে মানায় না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যোশীমঠের সঙ্গে রানিগঞ্জের তুলনা করে ‘উদ্বেগ’ জানিয়ে সব দায় কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। কয়লাঞ্চল বলছে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। 
রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চল ও কয়লা শিল্পকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে তৃণমূলী আমলে। শাসকদলের মদতপুষ্ট বাহিনী এই কয়লাঞ্চলে সমান্তরাল কোল মাইনিং চালাচ্ছে। ইসিএল’র থেকে বেশি উৎপাদন সেখানে। নরসমুদা, পারবেলিয়া, চিনাকুড়ি, সালানপুর, সামডি, বনজেমারি, পাটমোহনা, কালিদাসপুর, কার্যত ইসিএল’র সমস্ত এরিয়াতেই সমান্তরাল মাইনিং-এর কারবার ছড়িয়েছে। ইসিএল’র নিজস্ব অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেও এই তথ্য আছে। অসংখ্য এফআইআর করা হয়েছে। 
কোনও সরকারের আমলেই যা হয়নি, তা হয়েছে তৃণমূলী রাজত্বে। ইসিএল’র আন্ডারগ্রাউন্ড ইনক্লাইন নরসমুদা কোলিয়ারিতে রীতিমতন ড্রিফ্টিং করে ট্রাক্টর ঢুকিয়ে নিজেরা কয়লা খনন করছিল এবং ইসিএল’র উৎপাদিত কয়লা তুলে নিচ্ছিল সমান্তরাল কোল ইন্ডাস্ট্রির কারবারিরা। তিনমাস খনি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কয়লার চোরা কারবারিদের জন্য।
পারবেলিয়া কোলিয়ারির দখলদারি চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছিল। সেখানে দুই শতাধিক র‌্যাবটহোল সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। উৎপাতের কারণে দেড়মাস বন্ধ ছিল এই খনি। ইসিএল সদর দপ্তরের ৫কিলোমিটারের মধ্যে পাটমোহনা, চিনাকুড়ি কোলিয়ারিতে অসংখ্য বেআইনি খনন ও কয়লা উত্তোলন দেখা গেছে। পাটমোহনাতে পে-লোডার, জেসিবি দিয়ে কয়লা তোলা দেখেছেন মানুষ। ইসিএল মাঝে মধ্যে সুড়ঙ্গ ভরাট করেছে, আবার সুড়ঙ্গ পথ খুলেও গেছে। 
চোরাই কয়লা পরিবহনের জন্য দেদার ডাম্পার। ডাম্পার এবং কয়লা খননের এইচইএমএম যন্ত্র সারাইয়ের জন্য মাফিয়ারা রাস্তার পাশেই তাদের ওয়ার্কশপও খুলেছে। 
প্যারালাল মাইনিং হাজার হাজার কোটি কালো টাকার স্রোত খুলে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা শিল্পকে ছিবড়ে করেছে, একই সঙ্গে কয়লাঞ্চলে ধস-গ্যাসও আগুনের বিপদের বহরও বাড়িয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোকেরা রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলে প্যারালাল মাইনিং চালু করেছে। দলদাস পুলিশ দোসর। 
লুটের সাম্রাজ্যে বেপরোয়া লুটই প্রাধান্য পেয়েছে। ইসিএল’র আধিকারিকদের একাংশ, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশের লুটের কারবার। যারা প্রতিবাদ করতে গেছে, তাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই নিয়ে কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না। ট্রেড ইউনিয়নের স্বাভাবিক কাজকর্মে শাসকদলের দখলদারি। পুলিশ পরিবেষ্টিত শাসকদলের বাহুবলীদের একাধিপত্য কায়েম করা হয়েছে। এই সময়ে মাটির নিচে শূন্যস্থানে বালি ভরাটের মতন জরুরি কাজও অবহেলিত হয়েছে। কিন্তু কাগজে কলমে বালি ভরাট হয়ে গেছে বলে দেখানো হয়েছে। কমিশন লুটেছে শাসকদলের মদতপুষ্ট বালি সরবরাহের ঠিকাদার। এই সময়েই ইসিএল-এর নিজস্ব বালি সরবরাহের ব্যবস্থা জেকে রোপওয়েজকে গুটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলির বরাত চলে গেছে ঠিকাদারের হাতে। বালি ভরাট করা হয়েছে বলে খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে। বালিতে লুট, লুট কয়লায়। বিপদ বেড়ে চলেছে কয়লাঞ্চলের জনজীবনে। 
দেশের প্রয়োজনে কয়লার জোগান দিয়েছে রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চল। অথচ দেশের সরকার এই অঞ্চলের বিপন্নতা নিয়ে বরাবর উদাসীন থেকেছে। মালিকের জমানার খনি রাষ্ট্রায়ত্ত হয়েছে।  এই অঞ্চলে ধস-গ্যাস-আগুনের বিপদ বহুদিনের। ঘুঘনানি কমিটি, প্রসাদ কমিটি ইত্যাদি বহু কমিটি হয়েছে রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের বিপদ খতিয়ে দেখার জন্য। এই কমিটিগুলি কোথায় কোথায় বিপদ রয়েছে, তা নির্দিষ্ট করেছে। পরিত্রাণ পেতে গেলে কী করা দরকার, তার নির্দেশও দিয়েছে। দেশের সরকার কোনও কমিটির রিপোর্টকেই গুরুত্ব দেয়নি। বিপন্নতা মোকাবিলায় কানাকড়ি বরাদ্দ করেনি। শূন্য স্থানে বালি ভরাট করার জরুরি কাজ করেনি। কয়লার স্তরে লেগে থাকা জ্বলন্ত আগুন নতুন নতুন এলাকা গিলে খাচ্ছে। আবাদি জমি অনাবাদি হয়েছে। গৃহস্থের বাড়ির কুয়োর জল শুকিয়ে গেছে, পুকুর জলাশয় শুকিয়ে গেছে। বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে বায়ুমণ্ডলে। বিপন্ন এলাকা থেকে মানুষ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলার মানবিক কাজ করেনি সরকার। বিপন্ন মানুষ পুনর্বাসন চেয়েছেন। শুনছে কে? 
সিআইটিইউ অনুমোদিত ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভা (সিএমএসআই) রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের ধস-গ্যাস-আগুনের সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বহু বছর আগেই। জাতীয় সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এই দাবি মানুষের কাছে নিয়ে গেছে সিএমএসআই। সরকার কর্ণপাত করেনি। 
১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে রানিগঞ্জ ও ঝরিয়ার ধস, গ্যাস ও আগুনের বিপর্যয় মোকাবিলা ও বিপন্ন মানুষের পুনর্বাসনের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন তৎকালীন সিএমএসআই সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন সাংসদ হারাধন রায়। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে জানায়, বিপন্ন এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে ফেলতে হবে। যাদের সরিয়ে ফেলা হবে, তাদের পুনর্বাসন দিতে হবে। তখনই ২৬৬১.৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এরমধ্যে পুনর্বাসন খাতে ধরা হয়েছিল ২৬১০.১০ কোটি টাকা। পুনর্বাসনের জন্য ‘রানিগঞ্জ মাস্টার প্ল্যান’-এ কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ হয় ১৪৭৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্দ হয় বাকি টাকা। নোডাল এজেন্সি আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ( এডিডিএ) পুনর্বাসনের কাজ করবে। ২০০৯ সালেই পুনর্বাসনের জন্য প্রথম কিস্তির ১৫৯ কোটি টাকা  এডিডিএ’র হাতে তুলে দিয়েছে ইসিএল। 
১৪ বছর হয়ে গেল পুনর্বাসনের প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকারের নোডাল এজেন্সি এডিডিএ। এই দীর্ঘ সময়কালের মধ্যে বিপন্ন একজন মানুষও পুনর্বাসন পায়নি! টাকা মঞ্জুর হবার পর বামফ্রন্ট সরকার পরিচালিত এডিডিএ সময় পেয়েছিল মাত্র ১৯ মাস। এরমধ্যে বিপন্ন এলাকা ও মানুষের সমীক্ষা কাজ করা হয়। যাদের পুনর্বাসন দিতে হবে তাদের চিহ্নিত করা হয়। তাদের পরিচিতি পত্র দেওয়া হয়। ঠিক হয়েছিল প্রথমে মানুষ সরিয়ে ফেলা হবে সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা হরিশপুর, বাঙালপাড়া, সামডি ও কেন্দা এলাকা থেকে। এই এলাকার মানুষকে পুর্নবাসন দিতে হবে। 
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল। এরমধ্যে বহুবার বহু জায়গায় ধস হয়েছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল কেবল মিথ্যাচার করেছে। 
ধস কবলিত এলাকা হরিশপুরে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই রাত ১২টা নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে ধস নামে। গ্রামের মানুষ ঘর ছেড়ে সারা রাত কাটিয়েছেন গাছতলায়। পরদিন ভোর হতেই গ্রাম থেকে পলায়ন শুরু হয়ে যায়। হরিশপুর, মাধবপুর পরাশকোল হয়ে হরিপুর যাবার পাকা রাস্তাজুড়ে ধসের ছোবল।  
এক মাসের মধ্যে হরিশপুরের পাশে জামবাদে ধস নেমে মানুষ বিপন্ন হয়। বহুলা গ্রাম সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বাদ্যকরপাড়া, রুইদাসপাড়া, বাউরিপাড়া, ফরিকপাড়ায় ধসের ছোবল। ১০০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। কুলটির আড়াডাঙালে ধস। প্রাথমিক বিদ্যালয় ধসের কবলে। আড়াডাঙা মাদ্রাসাপাড়ায় ধস। বাড়ির মেঝে বসে গেছে। ২৫/৩০টি বাড়ি বিপন্ন। জামুড়িয়ার মিঠাপুর কোড়াপাড়ায় ধস। ধসের ফলে কোড়াপাড়া, সাঁওতালপাড়া, বাউরিপাড়ার মানুষ ভয়ে রাত্রে ঘরের বাইরে ছিলেন। সামডিতে বিশাল দোতলা বাড়ি ধসের গভীরে তলিয়ে গেছে। ধসের কবলে নতুন নতুন এলাকা। 
এদিকে পুনর্বাসনের টাকা হাতে নিয়ে কেবল মিথ্যাচার করেছে তৃণমূলী সরকার। 
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কোল ইন্ডিয়া টাকা দেয়নি। আমাদের কাছে কিছু টাকা ছিল, তাই দিয়ে বানিয়েছি। পরাশকোলে ধস হবার পর মন্ত্রী মলয় ঘটক সেখানে গিয়ে মিথ্যাচার করে বললেন, পুনর্বাসনের জন্য ইসিএল-কে বারবার বলা হচ্ছে, তারা পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে না।

হরিশপুর ধসের দুই মাস পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের মানুষ পুনর্বাসনের দাবিতে এডিডিএ দপ্তর অভিযান করেছিলেন। তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়া বামপন্থী দল, সিপিআই-লিবারেশন, কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের মোর্চাবদ্ধ অভিযান। এডিডিএ দপ্তর ঘিরে মানুষ মানুষ স্থায়ী পুনর্বাসন চেয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, পুর্নবাসনের টাকা গেল কোথায়? পুনর্বাসন করোনি কেনো? যেমন যেমন কাজ হবে, তেমন তেমন টাকা মঞ্জুর হবে এটাই স্থির হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, প্রতিদিন বিপন্নতার বহর বাড়ছে কেনো? 
কয়লাঞ্চলে বিজয়নগর, দাসকেয়ারি ও অণ্ডাল বিমান বন্দর এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য প্রথম পর্যায়ের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অণ্ডাল বিমান বন্দর ও নগরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। লিজে বিএপিএল-কে জমি দেওয়া হয়েছিল। চুক্তি ছিল বিমান বন্দর নগরীতে ডেভলপড জমি দেওয়া হবে জমিদাতাদের। কেউ ডেভলপড জমি পায়নি। সেখানকার জমিতে পুর্নবাসনের জন্য আবাসন হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে লিজে পাওয়া জমি অবৈধ ভাবে বিএপিএল কেনাবেচা করেছে। 
এদিকে বিধ্বস্ত বিপজ্জনক হরিশপুরে আবার কিছু মানুষ ফিরে এসেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে তাঁরা হরিশপুরেই বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ একজনকেও স্থায়ী পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। সচ্ছলরা অন্যত্র বাড়ি কিনে বসবাস করছেন। ভূমিহীন কপর্দকহীন গরিব মানুষ আবার ভয়াবহ হরিশপুরেই ফিরে এসেছেন। গৃহবধূ মানু গোপ বললেন, আমাদের টাকা পয়সা তেমন নেই। কোথায় যাবো? ভয়ে আত্মীয়রা কেউ আসেনা আমাদের বাড়িতে। হরিশপুরের প্রবীণ মানুষ নিমাই চন্দ্র রায় ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘আমাদের কেউ নেই। কোনোদিকে যাবার উপায় নেই। দেশে সরকার  বলে কিছু নেই। কেবল আছে টাকা আর গদি। এমপি এমএলএ’রা পাত্তা দেয় না। কেউ আসে না।’ ৪৫০ টি পরিবার পুনর্বাসনের তালিকায় রয়েছে হরিশপুরে। সবার আগে হরিশপুরের পুনর্বাসন হবার কথা।

জোশীমঠের সঙ্গে রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলের তূলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বালি পাথরে গড়া পাহাড়ে প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারী ভারী যন্ত্র দিয়ে সেখানে জাতীয় সড়ক চওড়া করা হয়েছে। সাবধানবাণী শোনা হয়নি। সমতলে রানিগঞ্জ ঝরিয়াতেও সাবধানবাণী শোনা হয়নি। উলটে বিপদ বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। কয়লাঞ্চলের মানুষের জীবনকে বাজি রেখে কয়লার কালো টাকার চক্র হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। 
রানিগঞ্জ জুড়ে এখানে সেখানে মাটি ভেদ করে ধোঁয়া উঠছে। কয়লার স্তরে আগুন জ্বলছে। প্রথমে মালিকের আমলের স্লটার মাইনিং-কে দায়ী করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল কোথায় কোথায় কাজ হয়েছে, তার ম্যাপ নেই, তাই বালি ভরাট করে এলাকা সুস্থিতি করা যায়নি।  বেআইনি খনন বিপর্যয়ের বিশাল কারণ। 
মানুষ বলছেন, দোষারোপ না করে মুখ্যমন্ত্রী বরঞ্চ একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। ২০১১ সালের পর থেকে রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলে কয়লার বেআইনি কারবারে কী পরিমাণ কালো টাকা উড়েছে? কারা লাভবান হয়েছে? কারা কারা যুক্ত এই কারবারে? তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী? পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? প্যারালাল মাইনিং-এর কারণে কোন কোন নতুন এলাকা বিপজ্জনক হয়েছে?  পুর্নবাসনের কাজে কবে কতো টাকা পেয়েছে রাজ্য সরকারের নোডাল এজেন্সি? কতোটা কাজ হয়েছে? পুনর্বাসনের আবাসন তৈরির জন্য বিএপিএল’র কাছ থেকে লিজের জমি কীভাবে পেল রাজ্য সরকার? জমি হাতবদল হয়েছে, না কিনতে হয়েছে? যদি কিনতে হয়েছে তো কতো টাকায় কিনতে হয়েছে? বিএপিএল’র জমি লিজের জমি, না কেনা জমি? যদি লিজের জমি হয়, তাহলে সেই জমি বিক্রি করা বৈধ না অবৈধ? যদি অবৈধ হয়, তাহলে এই অবৈধ কারবারে কারা কারা যুক্ত?  কতো টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে? কারা লাভবান হয়েছে? ২০১১ থেকে ২০২৩ কতোজনকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে
তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী একসময় নিজেকে ‘সততার প্রতীক’ বলতেন। সৎ সাহস থাকলে তিনি সত্যের মুখোমুখি হোন। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।

Comments :0

Login to leave a comment