অধিকার আদায়ের জন্য লাল ঝান্ডা লড়াই করছে লালঝাণ্ডা। লড়ছে মানুষের সম্পদ লুট করা রুখতে। ঠিক তাই বিজেপি আর তৃণমূল এক হয়ে লাল ঝান্ডাকে শেষ করার কথা বলছে। শনিবার শ্যামপুরের বরদাবাড়ে লেনিন বিদ্যাপীঠ স্কুলে জনসভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের হাওড়া জেলার দ্বিতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এদিন এই সমাবেশে বক্তব্যু রাখেন সংগঠনের রাজ্যী সভাপতি তুষার ঘোষ, কৃষক নেতা পরেশ পাল, সংগঠনের জেলা সভাপতি সন্তোষ অধিকারী, সম্পাদক অশোক দলুই, শহীদ ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানও। সভাপতিত্ব করেন সন্তোষ অধিকারী। সম্মেলন রবিবার পর্যন্ত চলবে।
সেলিম বলেন, গ্রামের মানুষকে বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় বরাবরই। এখন নতুন লড়াই দুর্নীতিবাজ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। আমাদের রাজ্যে র স্কুলে এখন শিক্ষক নেই, শিক্ষক নিয়োগে ব্যা পক দুর্নীতি হয়েছে। যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলো তারা রাস্তায় ধর্নায় বসে আছেন। আর চাকরি লুঠ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। তিনি বলেন আমাদের রাজ্যেি মা বোনেদের উপর অত্যা চার বেড়ে চলেছে , দুর্নীতি সর্বত্র চলছে। প্রতিদিন তোলাবাজি, কাটমানি, মারামারি চলছে। শাসক দলের নেতা কর্মীরা এইসব কাজে যুক্ত।
যার কাজ পাওয়ার কথা তার জব কার্ড নেই, যার জব কার্ড আছে সে কাজ পাচ্ছে না, যে কাজ করেনি তার নামে টাকা ঢুকে যাচ্ছে। আমফানের ঝড়, বন্যার ক্ষতিপূরণ থেকেও লুঠ করেছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। এই বাস্তবতা মনে করিয়ে তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য, একশো দিন কাজের অধিকার আদায়ের জন্য বামপন্থীরা লড়াই আন্দোলন করেছে।
সেলিম বলেন লাল ঝান্ডা গরিবের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাজের অধিকার আদায়, ১৪টি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যব বাঁধা দামে সরবরাহের দাবি করে। তিনি বলেন সারা দেশে লাল ঝান্ডা কমজোর হয়নি, কমজোর হয়েছেন গরিব মানুষ। তাদের হক, অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই সকলকে ঐক্যগবদ্ধ করে লড়াই চালাচ্ছে লাল ঝান্ডা। আমাদের রাজ্যেএর পুলিশ অপরাধীদের না ধরে আন্দোলনকারীদের আক্রমন করে। সকলকে একত্রিত করে শাসক ঐক্যবদ্ধ তাই জরুরি।
সভায় তুষার ঘোষ বলেন আমাদের রাজ্যেয ধান উৎপাদন কমেছে। ধানের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে আগামীদিনে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায় বহু কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য্ হচ্ছেন।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন তুষার ঘোষ। সন্তোষ অধিকারী, নিরঞ্জন পাত্র, নবীন ঘোষ ও মাধবী মালিককে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী সম্মোলনের কাজ পরিচালনা করেন।
Comments :0