মলয়কান্তি মণ্ডল▫️ রানিগঞ্জ,
'জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০' লাগু হলে শিক্ষায় বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যকরণ ও গৈরিকীকরণের পথ প্রশস্ত হবে। বিজেপি সরকারের সেই পথই রাজ্যের তৃণমূল সরকার অনুসরণ করছে। রাজ্যের ৮২০৭ টি সরকারী স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। পড়াশোনার খরচ বাড়ছে। গরিব ও পিছিয়ে পড়া অংশের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন স্কুলছুট বাড়ছে। এসএফআই দাবি করছে, 'সকলের জন্য শিক্ষা ও শিক্ষাশেষে কাজ চাই।' স্কুলে ও কলেজ ক্যাম্পাসে তৃণমূল ও বিজেপির শিক্ষাবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ছাত্রছাত্রীদের লড়াই তীব্র করতে হবে। এসএফআই পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৩৮ তম জেলা সম্মেলন উদ্বোধন করে এই আহ্বান জানান সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার ছাত্রদের সম্মেলনস্থলের নামকরণ হয় সলিল চৌধুরী নগর (রানিগঞ্জ) শহীদ ধীরাজ রাজেন্দ্রন মঞ্চ(কয়লা শ্রমিক ভবন)।সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শহীদ স্মরণে মাল্যদান করে সম্মেলনের সূচনা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন শ্রেয়া ঘোষ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৪০ জন ছাত্র প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেন। খসড়া রিপোর্ট পেশ করেন সম্পাদক সুদীপ কুড়ি। ১৪ জন আলোচনায় অংশ নেয়। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, পরীক্ষার বেনিয়ম, শিক্ষাঙ্গনে ধর্মের নামে ছাত্রদের বিভাজনের অপচেষ্টা, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত তৃণমূলের গুণ্ডাদের কলেজের শিক্ষার পঠনপাঠনের পরিবেশকে কলুষিত করার অভিঙ্গতা তুলে ধরে আলোচকেরা । কলেজে নিয়মিত ছাত্র নির্বাচনের দাবি তোলে ছাত্ররা।
এদিন সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, আরএসএস বিজেপি ইতিহাসের প্রকৃত তথ্যকে বিকৃত করে ইতিহাসের বিনির্মাণ করতে চাইছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে দাঙ্গাবাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন। সম্মেলনে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী ও রাজ্য ছাত্রনেতা অনির্বাণ রায় চৌধুরী। জেলা সম্মেলন থেকে সুদীপ কুড়িকে সম্পাদক ও সুপ্রিয়ম চ্যাটার্জিকে সভাপতি করে ৪৭ জনের কমিটি গঠন করা হয়।
Comments :0