SIR: TMC MPs met ECI

এসআইআর: দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে তৃণমূল

রাজ্য

নির্বাচনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেও বেশিরভাগেরই যুক্তিসঙ্গত জবাব মেলেনি বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। 
‘ভোটচুরি’-র গুচ্ছ অভিযোগ অভিষেকের বিরুদ্ধেই। দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে তিনিও ভোটচুরি নিয়ে সরব হলেন। বললেন, কেবল সংবাদমাধ্যমে বললে হবে না। ভোটচুরি হচ্ছে। ইভিএম-এ নয়। ভোটার তালিকায় হচ্ছে। ভোটচুরি আটকাতে হবে। 
বুধবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে দেখা করে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল। রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়েই বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে দাবি অভিষেকের। 
কমিশনের দপ্তরে থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন যে বিএলএ-২ থাকবে না শুনানিতে, এর কোনও লিখিত সার্কুলার নেই। হোয়াটস অ্যাপে নির্দেশ দিচ্ছে। কেননা আদালতে মামলা হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে। অথচ সার্কুলার দিতে নারাজ কমিশন। 
তাঁর বক্তব্য, বয়স ৬০ বছরের ওপরে হলেই, পোস্টাল ব্যালটের মতো, বাড়িতে গিয়ে শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থদের জন্যও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, কমিশন নির্দেশ পাঠিয়ে বলেছে বয়স ৮৫ বছর বা তার ওপর হলে শুনানি কেন্দ্রে আসতে হবে না। কিন্তু তার পরও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অসহনীয় দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। বয়স্কদের কনকনে ঠাণ্ডায় হাজিরা দিতে হচ্ছে, বাদ যাচ্ছেন না অসুস্থতা। নাকে নল নিয়েও দিতে হচ্ছে হাজিরা। প্রশ্ন হচ্ছে এমন ক্ষেত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারই বা কী করছে। এমন ক্ষেত্রে পরিবহণের ন্যূনতম ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন।  
অভিষেক বলেন যে ৫৩ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে খসড়া তালিকায়। তার মধ্যে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী কারা? কমিশন কোনও জবাব দেয়নি। অথচ বিজেপি প্রচার করছে। ২-৩টি ছাড়া বাকি প্রশ্নের জবাব নেই। 
উল্লেখ্য, অভিষেকের নিজের কেন্দ্র
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নাম বাদের হার কম, রাজ্যের অন্য কেন্দ্রের তুলনায়। এই কেন্দ্রটিতে তাঁর জয় ঘিরে বারবারই বিপুল ভোটচুরির অভিযোগ উঠেছে। ডায়মন্ড হারবারে পঞ্চায়েত পৌরসভায় কোনও বিরোধী প্রতিনিধি নেই কেন, সে প্রশ্ন একাধিকবার তুলেছে সিপিআই(এম)। অভিষেকের কেন্দ্রে তৃণমূলের লাগাতার ভোটচুরি, বুথদখলও সামনে এনেছে। সিপিআই(এম) বলেছে, ‘সেটিং’ এই কেন্দ্রে স্পষ্ট বোঝা যায়। 
এদিকে দিল্লিতে অভিষেকের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এ খসড়া তালিকায় নাম বাদের হার অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় কম। গুজরাট, উত্তর প্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে বেশি। তা’হলে কেবল পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রো অবজার্ভার কেন?
কংগ্রেস নেতা এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর তোলা ‘ভোটচুরি’ নিয়েই সরব হয়েছেন অভিষেক।। তবু বলছেন, কংগ্রেস বুঝতে পারেনি বলে হেরেছে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে, বিহারে। কেবল সাংবাদিক সম্মেলনে বললে হবে না। ভোটচুরি আটকাতে হবে। 
অভিষেকের দাবি করেন ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি’ সেই তালিকা বের করতে হবে কমিশনকে।

Comments :0

Login to leave a comment