Murder on AMU Campus

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষককে গুলি করে খুন

জাতীয়

বুধবার রাতে উত্তর প্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক শিক্ষককে গুলি করে খুন। নিহত শিক্ষকের নাম রাও দানিশ আলী(৪৫)। তিনি এবিকে হাই স্কুলের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন।  দুই অজ্ঞাত মুখোশধারী হামলাকারী বুধবার রাতে তাঁকে গুলি করে। ঘটনাটি যখন ঘটেছে দানিশ দুই বন্ধুর সঙ্গে লাইব্রেরির ক্যান্টিনে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্কুটারে থাকা হামলাকারী হামলা চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। যার ফলে ক্যাম্পাস চত্তরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাত পৌনে ৯টা থেকে ৯টার মধ্যে রাও দানিশ আলীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, দুই মুখোশধারী হামলাকারী একটি স্কুটারে করে এসেছিল। হামলাকারীরা দানিশকে দাঁড় কড়ায় এক হামলাকারী তাঁর সঙ্গে কথা বলে। শিক্ষককে মাথায় গুলি করার আগে বন্দুকধারীরা বলেছিল ‘‘এখন তুমি আমাকে চিনতে পারবে’’। তারপর সে খুব কাছ থেকে পিস্তল থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। মাথায় দুটি গুলি লাগলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দানিশ। সহকর্মী শিক্ষকরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিনিয়র পুলিশ সুপার নীরজ জাদন জানিয়েছেন যে উভয় হামলাকারীই দানিশ আলীকে গুলি করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়ের করে তদন্তের জন্য ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করেতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসএসপি জানিয়েছেন খুনের উদ্দেশ্য জানতে নিহতের পরিবার এবং বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।
এএমইউ প্রক্টর মোহাম্মদ ওয়াসিম আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রাত ৯টা নাগাদ আমরা খবর পাই যে লাইব্রেরির কাছে গুলি চালানো হয়েছে এবং একজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে জানা যায় যে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটি এবিকে স্কুলের শিক্ষক দানিশ।’’
বিধানসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গর্ব করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এএমইউতে এক শিক্ষককে গুলি করে খুনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন ‘‘এখন উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা পরিবেশ এতটাই উন্নত হয়েছে যে সবাই বলছে - নিরাপত্তার ভয় শেষ হয়ে গেছে বলেই বিনিয়োগ আসছে।’’ যোগীর দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল শিক্ষকে গুলিকরে খুনের ঘটনা ফের একবার প্রমান করলো। তবে কি কারণে শিক্ষককে খুন করা হয়েছে তা এখনও পষ্ট নয়।

Comments :0

Login to leave a comment