তিন ‘সংহিতা’ বিল সংক্রান্ত রিপোর্ট গ্রহণ পিছিয়ে গেল সংসদীয় কমিটিতে। বিরোধী সাংসদরা বিল তিনটি নিয়ে চর্চার জন্য বাড়তি সময় দাবি করেন শুক্রবার।
দেশের ফৌজদারি আইন ব্যবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে এই তিনটি বিল সংসদের বাদল অধিবেশনে পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের দাবিতে তিনটি বিল পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয় সংসদের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিরোধী সদস্যরা চেয়ারপার্সনকে বলেন যে বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের মতামত শোনা হয়নি। স্থায়ী কমিটির প্রধান ব্রিজ লালকে তাঁরা বলেন যে শুক্রবার খসড়া রিপোর্ট চূড়ান্ত করার কাজ নির্ধারিত হলেও বাড়তি সময় দরকার। ৬ নভেম্বর ফের কমিটির বৈঠক ডেকেছেন ব্রিজ লাল।
বিরোধী সাংসদদের একাংশ বলেন যে আইনজীবী এবং বিভিন্ন মামলার আবেদনকারীদের কথা শোনা দরকার। তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট চড়ান্ত করার সময়সীমা পিছানো দরকার।
ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি বিচারবিধি এবং ভারতীয় প্রমাণ আইন বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিল পেশ করা হয়। ১১ আগস্ট এই তিনটি বিল পেশ করেন অমিত শাহ।
ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ঔপনিবেশিক আইন বদলানোর যুক্তি দিয়ে নতুন তিনটি বিল পেশ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু নতুন বিলে নাগরিকদের অধিকার ঔপনিবেশিক শাসনের তুলনায় আদৌ গুরুত্ব পায়নি, বরং গুরুতি আঘাত নামানোর চেষ্টা হয়েছে বিলে। বিরোধীরা এই মর্মে সরব।
বামপন্থীরা বলেছেন, বিজেপি সরকারের ‘সংহিতা’ দেশদ্রোহিতার ধারাকে আরও দানবীয় করেছে। ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমনের জন্য যে আইনি ব্যবস্থা করেছিল তাকেই অনুসরণ করা হয়েছে। ‘সংহিতা’-র এই ধারায় সরকারের বিরুদ্ধে লিখলে বা বললেও দেশদ্রোহী বিবেচনা করার সংস্থান রয়েছে। কোনও প্রতীক বা ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তাকে দেশদ্রোহ বলা যাবে। অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বা কম করে সাত বছরের জেল ও জরিমানার সংস্থান রয়েছে বিলে।
Comments :0