স্মার্ট মিটার লাগাতে বাধ্য করে গরিব-মধ্যবিত্ত মানুষকে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়ে দেশকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দেওয়া যাবে না। সাধারণের স্বার্থ বিরোধী স্মার্টমিটারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। বিদ্যুৎ শিল্পের বেসরকারিকরণ ও স্মার্ট মিটারের বিরুদ্ধে এক কনভেনশনে সোমবার রানিগঞ্জে একথা বলেন সিআইটিইউ সর্বভারতীয় নেতা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী।
রানিগঞ্জের কয়লাশ্রমিক ভবনে সিআইটিইউ, কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন সংগঠনের ডাকে যৌথ কনভেনশন আয়োজিত হয়। এই কনভেনশনে মহিলা যুব ও বস্তি সংগঠনের নেতৃবৃন্দও অংশ নেন। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রবীর মন্ডল।
কনভেনশনে প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকার স্মার্ট মিটার বসিয়ে গরিব মধ্যবিত্তদের বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। সারা দিনের যে সময় চাহিদা সর্বোচ্চ ওই সময় চড়া দরে বিদ্যুৎ কিনে খরচ করতে হবে। পশ্চিমবাংলায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সাহায্য করছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। মোদি সরকারের সংস্কার নীতির কাছে মাথা নুইয়ে পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের সরকার গ্রাম বাংলাকে অন্ধকারে ডোবাতে চায়।
নন্দী চৌধুরী বলেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে সরকারি বিদ্যুৎবন্টন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল পাস করাতে উদ্যোগী হয়। দেশজোড়া তীব্র বিরোধিতা হয়। প্রিপেইড স্মার্ট মিটার লাগিয়ে মোদী সরকার পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে। সারা দেশে স্মার্ট মিটার লাগানো হলে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
এদিন বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, স্মার্ট মিটারের নামে বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণের ফলে কৃষি ও শিল্পে চরম সংকট নেমে আসবে। বিদ্যুতের দাম বাড়বে ফলে শ্রমজীবী ও গরিব মানুষের ওপর আর্থিক সংকটের বোঝাও বাড়বে।
Comments :0