তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে স্তব্ধ হল বাউড়িয়া। রীতিমত রাস্তা আটকে তৃণমূল কর্মীরা হেনস্তা করলো উলুবেড়িয়া পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলরকে। স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মারধোর করা হয় পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্যকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বাউড়িয়ার ফোর্টগ্লস্টরে।
সূত্রে জানা গেছে, বাউড়িয়ার নর্থমিল এলাকায় একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস, ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল শেখ আকবর সহ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। কেন আরেক তৃণমূল নেতা বেনু সেনকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি এমন প্রশ্ন তুলে উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যানকে আটকে দেন ফেরার পথে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা পৌরসভার চেয়ারম্যানের গাড়ি আটকে দেয়। কেন তৃণমূল নেতা বেনু সেনকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয়নি জানতে চেয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান ,ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্যকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ক্লাস স্তরের একটি ক্লাবে ঢুকিয়ে মারধর করে তৃণমূল নেতা বেনু সেনের লোকজন। রাস্তা অবরোধ করে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় ফোর্টগ্লস্টর এলাকাকে। সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিট নাগাদ ফোর্টগ্লস্টর গেটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
অভিযোগ, রাস্তা অবরুদ্ধ করে দিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পুলিশ এলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেয় সংঘর্ষরত তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় মানুষ আতঙ্কে বিভিন্ন প্রান্তে দৌড়ে চলে যান। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত বাউড়িয়াতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরাও বেশ সমস্যায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে আটটার সময় মুক্ত হন পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ কর্মকর্তারা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এখন আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণই তৃণমূল। তৃণমূলের অন্তর্কলহ কোন পর্যায়ে গেছে যে উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যানও আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাচ্ছেন না। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বাউড়িয়া অবরুদ্ধ থাকার পরেও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেননি।
Comments :0