চালুনি করে ছুঁচের বিচার। ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল আর রাজ্যের শাসক দল মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার ভোটার তালিকায় দুই জায়গায় নাম। এবং সেটা দল জানে। নির্লজ্জের মতো শাসকদলের সাফাইও আছে। প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু। যার নাম দু জায়গার ভোটার তালিকায় আছে সেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আবার স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূল করেন,অতএব....।
পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগদা গ্রামের বাসিন্দা রুবি মুখার্জী। ২০১৬ সালে তার বিয়ে হয়েছে রঘুনাথপুর বিধানসভার শাঁকা গ্রাম পঞ্চায়েতের নপাড়া গ্রামের অমরনাথ মুখার্জীর সাথে। রুবি দেবী ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শাঁকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হন। তার মুখ থেকেই শোনা তিনি ৮৫ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি একজন জন প্রতিনিধি। রঘুনাথপুর বিধানসভার অন্তর্গত ২৩৫ বুথের ৬৭৪নম্বর সিরিয়ালে তার নাম রয়েছে,যার ভোটার কার্ড নম্বর ZJZ2661439।
বিয়ের পরে তিনি তার বাপের বাড়ির পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগদা গ্রামেও ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। ৩৫ পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বলরামপুর বিধানসভার লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগদা গ্রামের ৪৫ নম্বর বুথে ৪৬৩ নম্বর সিরিয়ালে তার নাম রয়েছে। তার ভোটার কার্ড নম্বর ZJZ2164242। দুটি ভোটার কার্ডেই তার স্বামীর নাম রয়েছে।
বর্তমানে তিনি তার বাপের বাড়ি লাগদাতেই থাকেন। সেখানে একটি স্কুলের হোস্টেলে ওয়ার্ডেনের চাকরি করেন। হোস্টেলের ওয়ার্ডেন মানে তাকে ২৪ ঘণ্টাই হোস্টেলে থাকতে হবে। কর্মস্থল থেকে ৪০ /৪৫ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তিনি। তার স্পষ্ট কথা মেয়েরা যখন স্কুলে যায় তখন তিনি পঞ্চায়েতের কাজ করতে যান। কি করে দুটি এলাকার ভোটার তালিকায় তার নাম আছে এ বিষয়ে তার আমতা আমতা উত্তর। আবার যে পদে তিনি চাকরি করেন সেই পদে চাকরির যোগ্যতা হল যেখানে হোস্টেলটি রয়েছে সেই ব্লকেই তার বাসস্থান হতে হবে। তাহলে কি চাকরি নেওয়ার জন্যই তিনি পরবর্তী সময়ে বাপের বাড়ি এলাকায় ফের নতুন করে নাম লিখিয়েছিলেন ভোটার তালিকায়? অন্যায় যে তিনি করছেন সেটা তিনি ভালোভাবেই জানেন। কারণ প্রশ্নের সামনে তিনি বললেন কি করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তার কিন্তু চাকরিটা ভীষণ দরকার। মেয়েদের মানুষ করার জন্য তার কাছে চাকরিটা খুব জরুরী। তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু দল মানেনি। তার স্বামী অমরনাথ মুখার্জি অবশ্য ফুৎকারে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন সমস্ত দায় প্রশাসনের তারা নাকি নাম কাটাবার জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেটা কেন গৃহীত হয়নি সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিএলআরওকে ডেকে তার কাছে নিয়ে আসতে। স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই বেআইনি কাজ করার পরেও তার স্ত্রীর কিছুই করা যাবে না।
Voter List West Bengal
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার ভোটার তালিকায় দুই জায়গায় নাম

×
Comments :0