প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজজামান খান কামালকেও।
সোমবার দুপুরেই ঢাকার ৩২ ধানমন্ডি এলাকায় বিশাল উত্তেজনা দেখা যায়। পুলিশকে দু’তরফের লোকজনকে সরাতে হয়েছে। নামাতে হয়েছে সেনা।
সোমবার রায় ঘোষণার আগেই এমন চরম সাজা দেওয়ার অনুমান ছিল। এই ট্রাইবুনালের নরপেক্ষতা নয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন অংশ। দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া হাসিনা এদিন বাইরে থেকেই বিশেষ বার্তা দেন।
রায় ঘোষণার পর ফের প্রতিবাদে নামার ডাক দিয়েছে তাঁর দল আওয়ামি লিগও।
বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহেই আওয়ামি লিগের ডাকে ‘লকডাউন’-র গুরুতর প্রভাব পড়ে রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে।
জুলাই অভ্যুত্থান বিরোধী ‘মানবতা বিরোধী অপরাধ’-র দায়ে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে ট্রাইবুনাল। তবে পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লা আল মামুনকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বামপন্থীরা হাসিনার কার্যকালের বিরুদ্ধে সরব হলেও মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ লাগাতার পিটিয়ে হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির তীব্র আস্ফালনের বিরুদ্ধে বারবার রাস্তায় নেমেছে। আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ইউনুস সরকারের বিদেশনীতির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
সোমবার ট্রাইবুনালের তিন সদস্যের প্যানেলের প্রধান ছিলেন বিচারপতি গোলাম মোর্তাজা মজুমদার। ৪৫৩ পাতার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। তার দায় সে সময়েই প্রধানমন্ত্রীর। কামাল এবং মামুনকে দায়ী করা হয়েছে তাঁদের প্রশাসন এবং বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ না করার জন্য।
Hasina Death Penalty
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘিরে বাংলাদেশে উত্তেজনা
সোমবার ৩২ ধানমন্ডিতে উত্তেজনার ছবি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে।
×
Comments :0