মনে হচ্ছে চীনের গভীর গাড্ডায় পড়ার হাত থেকে ভারত আর রাশিয়াকে সরানো যাচ্ছে না।
এমনই মত জানিয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে শাসিয়েছেন ট্রাম্পের বাণিজ্য সচিব। আর আমেরিকার বিদেশ নীতিকে আক্রমণ মুখী দেখাতে বলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবার যুদ্ধ মন্ত্রক হবে তাঁর দেশে।
আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হওয়ার লুটনিক বলছেন সাহসী আত্মবিশ্বাসী আমেরিকা। কারণ আমেরিকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। সেই যুক্তিতে লুটনিকের দাবি এক বা দুমাসের মধ্যে আমেরিকার শর্ত নেবে ভারত।
কেবল রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নয়, লুটনীকের আপত্তি চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ব্রিকস জোটে থাকা নিয়েও। ডলারের আধিপত্য মেনে নেওয়ার খোলাখুলি হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র দক্ষিণপন্থী প্রশাসনের এই বাণিজ্য সচিব।
পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য আমেরিকার মধ্যেই শুল্ক নীতি, বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর নীতিতে সমালোচনার মুখে ট্রাম্প। সেই সমালোচনা সামলাতে লুটনিককে দিয়ে ফের গরম হুমকি শোনালেন ট্রাম্প।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য আলোচনাও চলছে। বাজার খোলার চাপ দিতেও এমন হুমকি, মত একাংশের। শুক্রবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার সমালোচনা খারিজ করে বিবৃতি দিয়েছে।
এদিনই ট্রাম্প ঘোষণা করেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম পাল্টে যুদ্ধ দপ্তর করা হচ্ছে। একটি পরিবর্তন করা হবে একটি বিশেষ আদেশ নামার মাধ্যমে। এই নামটিকে মার্কিন কংগ্রেস থেকে পাস করাতে হবে। ট্রাম্প বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তুলনায় যুদ্ধ-মন্ত্রক শুনতে বেশি ভালো লাগে।
এই নামটি আমেরিকা এর আগে শেষ ব্যবহার করেছিল ১৯৪০ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোন দেশেই প্রতিরক্ষা মন্ত্র বলে কোন মন্ত্রক ছিল না। তখন এই মন্ত্রকের নাম ছিল যুদ্ধ মন্ত্রক। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন রাষ্ট্র সংঘ স্থাপন হলে দেশগুলি তাদের যুদ্ধ মন্ত্রকের নাম পরিণত করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক করে।
USA TARIFF INDIA
বাজার দখলের মতলবেই ভারতকে শাসানি ট্রাম্প, লুটনিকের

×
মন্তব্যসমূহ :0