মাদ্রাসা সংক্রান্ত আইন বাতিল মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মঙ্গলবার শুনানিতে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের মনোভাবে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনকে বলেছে, অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কী একই মনোভাব দেখান?
এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ বছরের ২২ মার্চ মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বাতিল করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবারই শুনানি শেষ হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে প্রশ্ন করেন, মাদ্রাসা শিক্ষা আইন নিয়ে আপনাদের যা বক্তব্য তা কি অন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এক?
বেঞ্চ বলেছে, এই রকম অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে অন্যান্য ধর্মের শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা এবং আচরণের প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করে। কেন এনসিপিসিআর কেবল মাদ্রাসাগুলি নিয়েই কেবল উদ্বিগ্ন? সব সম্প্রদায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমান আচরণ থাকছে কিনা জাতীয় কমিশনটির, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি শুনানির মাঝে বলেন, মাদ্রাসার স্বীকৃতি কেড়ে নিলে ফলাফল কী হবে ভেবে দেখা উচিত। সেক্ষেত্রে অভিভাবকরা ওই প্রতিষ্ঠানেই শিশুদের পাঠাবেন। তারা সেখানেই পড়বে যার স্বীকৃতি নেই। দেশের পক্ষে এই ব্যবস্থা কী আদৌ কাজের হবে?
বেঞ্চ বলেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা আইনে ত্রুটির জায়গা থাকলে তা শুধরে নেওয়াই উচিত। একটি ইংরেজি প্রবাদ তুলে বলেছে, গামলার জল সহ শিশুকে ফেলে দিলে কাজটি কারও পক্ষে মঙ্গলজনক হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আজ রায়দান স্থগিত করেছেন। বিচারপতি পারদিওয়ালা এনসিপিসিআরকে জিজ্ঞাসা করেন মাদ্রাসার সিলেবাস গভীর ভাবে অধ্যায়ন করা হয়েছে কিনা?
প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষনে বলেন, সংবিধানের ২৮(৩) ধারা অনুযায়ী একজন ছাত্র স্বেচ্ছায় ধর্মীয় নির্দেশনা মানতে পারেন। তাকে বাধ্য করা হলে তখন তা নিয়ে আপত্তি জানানো দরকার।’’
SC MADRASSAH
কেবল মাদ্রাসা নিয়েই মাথাব্যথা কেন, জাতীয় কমিশনকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
×
Comments :0