West Bengal govt Bans Medicines

স্যালাইন কাণ্ড, সংস্থার ১৪ ওষুধ নিষিদ্ধ করল রাজ্য

রাজ্য

অবশেষে রাজ্য সরকার ঢোক গিলতে বাধ্য হল। যেখানে কর্ণাটক সরকার এক মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালসের সমস্ত প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছিল, তারপরেও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে তা বহাল তবিয়তে চলছিল। মেদিনীপুরের হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর সারা রাজ্যে চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারপর মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালস উৎপাদিত ১৪টি প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা পাশাপাশি কোন হাসপাতালে ওই প্রোডাক্টগুলি মজুদ থাকলে তা অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেগুলি হল ডেক্সট্রোস ইনজেকশন, লেভোফ্লোক্সোসিন ইনফিউশন, মনিটল ইনফিউশন, ওফ্লোক্সোসিন ইন ফিউশন, পিডিয়াট্রিক মেন্টেনেন্স ইলেক্ট্রোলাইট সল্যুশন, ডেক্সট্রোস সল্যুশন, রিংগার লেকেটেড সল্যুশন ইনজেকশন, রিংগার সল্যুশন ইনজেকশন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন সোডিয়াম ক্লোরাইড যুক্ত ডেক্সট্রোস ইনজেকশন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এতদিন ঘুম না ভাঙ্গায় তাদের মনোভাবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন চিকিৎসক মহল। এসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক উৎপল ব্যানার্জি জানান, ‘‘আমরা কর্মরত বিচারককে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি রাখছি। সিআইডি কিংবা রাজ্য সরকারের অন্য কোন এজেন্সির উপর আমাদের ভরসা নেই। গত ১০ ডিসেম্বর ওই সংস্থার উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তারপরেও পশ্চিমবঙ্গের ভিন্ন হাসপাতাল ও  স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বহাল তবিয়তে চলছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ওই ওষুধ ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেওয়ার খবর সামনে এলেও বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা চলছিল এবং নিষেধাজ্ঞা আসতে এত দেরি হল। এর পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করা দরকার।’’
সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন,‘‘রাজ্যের শাসক দলের সাথে প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদ না থাকলে এত কেলেঙ্কারির পরে ওই কোম্পানির ওষুধ রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে চলতে পারেনা। এর নেপথ্যে রয়েছে বিরাট টাকার লেনদেন। অনেক আগেই ওই কোম্পানির ওষুধ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া উচিত ছিল। তবুও ওই কোম্পানিকে আড়াল করার চেষ্টা চালায় প্রশাশনের শীর্ষস্তর থেকে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’’

Comments :0

Login to leave a comment