ইতিহাস গড়ল ভারত। ইসরোর পক্ষ থেকে চাঁদের বুকে সফল সফ্ট ল্যান্ডিং চন্দ্রযান ৩’র। ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদকে জানার অভিযান করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইসরো’। তারপর ২০১৯’এ চন্দ্রযান ২। কিন্তু সেইবার সফল ভাবে চাঁদের বুকে নামতে পারেনি চন্দ্রযান-২। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রায় ত্রুটি মুক্ত অভিযান শুরু করে ইসরো। সমস্ত ভুল শুধরে নিয়ে নিপুন ভাবে চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে ২৩ আগষ্ট অবতরণ করল ল্যান্ডার বিক্রম। এবার ধীরে ধীরে ল্যান্ডারের ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসবে প্রজ্ঞান এবং শুরু করবে তার কাজ। বিক্রম নামার পরে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেকটাই ধুলো উড়বে। কিন্তু সেই ধুলো সম্পূর্ন থিতোতে বেশ কিছুটা সময় নেবে কারণ দুর্বল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। ধুলো সম্পূর্ণ থিতোলেই বিক্রমের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে প্রজ্ঞান।
এদিন বিকেল পাঁচটা চুয়াল্লিশ নাগাদ সফট ল্যান্ডিং শুরু হয় ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই সময়কে ‘২০ মিনিট ওফ টেরর’ বলে উল্লেখ করেছিল ইসরো। ল্যান্ডার বিক্রমের গতী কমিয়ে চাঁদের পিঠে নামানোটাই সব থেকে চ্যলেঞ্জিং বিষয় বলেই জানিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযানের গতিবেগ ও ভরবেগ কমানোর প্রকৃয়া সহ অবতরনের সব কিছুই চন্দ্রযানের মধ্যে প্রোগ্রামিং করা ছিল। সব কিছুই সঠিক থাকায় সফলভাবেই অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩।
চন্দ্রযান-৩’র সফল অবতরণের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন এস সোমনাথ। তিনি সমস্ত বিজ্ঞানীদের অভিবাদন জানান। এই ইতিহাস তৈরির পেছনে প্রত্যেকটি বিজ্ঞানীদর যে পরিশ্রম রয়েছে তার উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গে কিভাবে ভুল ত্রুটি শুধরে, চন্দ্রযান ২ অসফল হওয়ার পরে সমালোচনা সামলে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গেছে সে কথা উল্লেখ করেন তিনি। ইসরোর এই সাফল্যে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
চন্দ্রযান ৩’র প্রোজেক্ট ডিরেক্টর পি ভীরামুথুভেল এই সাফল্যের জন্য সমস্ত টিমকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন আজকের দিনটি সকলের জন্য খুবই আনন্দের দিন। তিনি আরও বলেন চন্দ্রযান ৩ প্রথম থেকেই নিখুত ভাবে সময় মেপে এবং যে ভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছিল সেই নিয়ম মেনেই সাফল্যের দিকে এগিয়েছে। এই সাফল্যের জন্য তিনি সমস্ত বিজ্ঞানী সহ গোটা দেশকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
চন্দ্রযানের পরে ইসরো আরও একাধিক বিষয়ে মহাকাশ গবেষনা জারি রাখবে। এই সারিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখিত স্থানে রয়েছে গগনায়ন।
Comments :0