CONGRESS PLENARY SESSION

ফের পদযাত্রায় নামছে কংগ্রেস, এবার অরুণাচল থেকে গুজরাট

জাতীয়

congress bjp rahul adani bengali news কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে রাহুল। ছবি: সংগৃহীত

ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রবিবার ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই লক্ষ্য জানান দলের অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাত্রার আদলে অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাট থেকে গুজরাটের পোরবন্দর অবধি অপর একটি যাত্রা সংগঠিত করার বিষয়ে পরিকলপনা নেওয় হচ্ছে। 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অবধি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-কে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে দারুণ সাড়া পড়েছে। কিন্তু এই যাত্রা মূলত দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর পশ্চিম ভারতকে ছুঁতে পেরেছে। পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত যাত্রার মানচিত্রের বাইরে ছিল। এবার সেই অংশেও পদযাত্রা করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

তবে রমেশ জানিয়েছেন নতুন দফায় পদযাত্রার পরিকল্পনা খানিকটা আলাদা। তিনি বলেন, ‘‘এই যাত্রা উত্তর-দক্ষিণের পদযাত্রার থেকে বেশ কিছুটা আলাদা হতে চলেছে। তার কারণ, পূর্ব ভারত এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গভীর অরণ্য এবং নদী রয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে জনবসতি কার্যত নেই। তাই পদযাত্রার এই অংশে উত্তর-দক্ষিণ যাত্রার মতো টানা পথ চলা সম্ভব নয়। তাই অরুণাচল-গুজরাট  যাত্রার সময়কালও কম হবে। 

সম্প্রতি আদানি-হিন্ডেনবার্গ কান্ড নিয়ে বেকায়দায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানির যোগসূত্র ঘিরে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন রাহুল গান্ধী। যুক্তি দিয়ে সেই অভিযোগ খারিজ করতে পারেনি বিজেপি। উলটে রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়। সিপিআই(এম), কংগ্রেস সহ অধিকাংশ বিরোধী শক্তি সরব হয়। বিরোধীদের তরফে একযোগে আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানানো হয়। কিন্তু বাজেট অধিবেশনে, এমনকি, আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনাতেও রাজি হয়নি বিজেপি সরকার। সেক্ষেত্রে, বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি জানান। যদিও সরকার সে দাবিও মানেনি। 

প্লেনারি অধিবেশন শেষে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে এক জনসভা করে কংগ্রেস। সেখানে প্রীয়াঙ্কা গান্ধী ভডরা বলেন, ‘‘ দেশের কৃষক প্রতিদিন ২৭টা রোজগার করছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’র দৈনিক রোজগার ষোলোশো কোটি টাকা। দেশের এয়ারপোর্ট, বন্দর, রেলস্টেশন, কয়লা খাদান, সড়ক, পিএসইউ সহ সমস্ত সরকারি সম্পত প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

২০২৩ সালে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। এক বছর পরেই, ২০২৪’এ লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। 

কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রথম দফার যাত্রায় মূলত এই রাজ্যগুলিকেই ছুঁয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা। এই পথে রাজস্থান এবং ছত্তিসগড় বাদে কোনও রাজ্যেই কংগ্রেসের সরকার নেই। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, তারপরেও প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটারের গোটা যাত্রাপথ জুড়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিপুল উন্মাদনা লক্ষ করা গিয়েছে।

 

 

Comments :0

Login to leave a comment