ভাস্কর দাশগুপ্ত: বলরামপুর
সুকান্ত শতবর্ষে ছাত্র-যুব উৎসব হচ্ছে পুরুলিয়ার বলরামপুরেও। তিরন্দাজি ও আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতা রয়েছে ওখানকার ছাত্র-যুব উৎসবে।
বৃহস্পতিবার বলরামপুরে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি। ছিলেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার এবং রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা। ছিলেন ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দ। সুকান্ত শতবর্ষে সারা রাজ্যে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই’র আহ্বানে হচ্ছে ছাত্র-যুব উৎসব।
বলরামপুরের কলেজ ময়দানের অনুষ্ঠানের আহ্বান ছিল, এই কঠিন সময়ে ছাত্র-যুব সমাজকে লড়াইয়ের প্রেরণা দেয় সুকান্ত ভট্টাচার্য। যিনি তাঁর স্বল্প পরিসরের জীবনে খেটে-খাওয়া মানুষের কথাই তুলে ধরেছেন তাঁর কবিতায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তাঁর কবিতার লেখনিতে। এই সময়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। আজকের সময়ে তাঁর আদর্শকে ভিত্তি করে এগিয়ে যেতে হবে ছাত্র-যুব সমাজকে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১০ জন তিরন্দাজ সহ মোট ৬৫ প্রতিযোগী এই যোগ দিয়েছেন এদিন। আদিবাসী নৃত্যতেও দশটি নৃত্যের দল যোগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বলরামপুরে ধামসা মাদলের বোলে পায়ে পায়ে পথ মিলিয়ে হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কমলেশ্বর মুখার্জি বলেন, ‘‘গ্রামের জীবন, জীবিকা এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করতেই হবে। এটাই আমাদের সনাতন সংস্কৃতি। যে সমস্ত শিল্প মাধ্যম লুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে সেগুলিকে রক্ষা করতে হবে। কারণ সেই শিল্পের সঙ্গে মিশে আছে খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম।’’ এই সময়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য আরো বেশি করে প্রাসঙ্গিক কেন বক্তব্যে ব্যাখ্যা করেন তিনি। স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অয়নাংশু সরকার ও অভ্যর্থনা কমিটির পক্ষে মহম্মদ ইব্রাহিম। উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন সুব্রত মাহাতো।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুনীল মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক চিরঞ্জিত মুখার্জি, এসএফআই জেলা সভাপতি পবিত্র ব্যানার্জি, জেলা সম্পাদক সায়ন্তন ঘোষ, গোবিন্দ মাঝি, যুবনেত্রী সোনামণি টুডু প্রমুখ।
Comments :0