যাত্রীবাহী টোটোকে পেছন থেকে ধাক্কা দিল বেপরোয়া লরি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় টোটো চালকসহ তিন জনের।
বৃহস্পতিবার ভোরে মালদহের গাজোল থানার অন্তর্গত দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিপুকুর এলাকায় ৫১২ নং জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা হয়। গুরুতর আহত আরও একজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রথমে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম, নিজামুদ্দিন শেখ(৫৫)।
পেশায় মাছ ব্যবসায়ী, খলম্বা এলাকার বাসিন্দা। ললিত ভুইমালি(৬০)। কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। টোটো চালক আলতাফ হোসেন(৪২)। বাড়ি দেওতলা এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবজি ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন শেখ(৬০)। পদ্মপুকুর এলাকায় তাঁর বাড়ি।
প্রতিদিনের মতো এদিন ভোরেও টোটোতে করে গাজোলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পদ্মপুকুর এলাকায় একটি লরি পিছন থেকে ধাক্কা মারে টোটোকে। দুমড়ে মুচড়ে যায় টোটোটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিনজনের। স্থানীয়রা আহত শামসুদ্দিন শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
তাঁরাই খবর দেয় গাজোল থানায়। পুলিশ এসে দেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
অন্যদিকে এদিন গভীর রাতে পুরাতন মালদার নারায়নপুর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও তিনজন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ইন্তাজউদ্দিন মিঁয়া বলেছেন, নারায়নপুরের চাকি মোড়ের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে উপর পাথর বোঝাই একটি লরি জেসিপিকে ধাক্কা মারে। জেসিপিটি পাল্টি খায়। জেসিপির চালক এবং খালাসী দুজনই গুরুতর আহত হয়। জেসিপিকে ধাক্কা মেরে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ির শোরুমে ঢুকে পড়ে। শোরুমের এক কর্মীকে পিষে দেয় লরিটি। ঘটনাস্থলে মারা যায় শোরুমের কর্মী। মৃতের নাম নুরুল সেখ(৫৪)। জলঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শোরুমের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন লরির চালকও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালদা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে ভীড় জমায় স্থানীয় মানুষ। তাদের বক্তব্য জাতীয় সড়কে লড়িগুলো বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। প্রচণ্ড গতিবেগের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে।
Comments :0