মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশ থেকে কালিঘাট পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চেয়ে প্রশাসনে আবেদন করেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু প্রশাসন সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপর আদালতের দারস্থ হলো সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মিছিলের অনুমতি দেন। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চৃর রায়কে চ্যালেজ্ঞ জানিয়ে ডিচিসন বেঞ্চে যায় রাজ্য। মঙ্গলবার ডিভিসন সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে সমান্য পরিবর্তন এনে রায় অনুমতি বহাল রাখেন। ডিভিসন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় যে হরিশ মুখার্জি রোড নয় চাকরি প্রার্থীরা আশুতোষ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল করতে পারবেন।
আদালতের নির্দেশ মেনেই হাতে লম্প নিয়ে মিছিল করেন চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দাবদাহকে উপেক্ষা করে মিছিলে পা মেলান চাকরি প্রার্থীরা। গ্রুপ ডি’র চাকতি প্রার্থী প্রতীক সরকার বলেন, ‘‘সালমান খান ওনার দর্শন পান। কিন্তু আমরা এই রাজ্যেরই বাসিন্দা। আমরা পাই না।’’
২৫০ দিনের বেশি সময় ধরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, লেখা পরীক্ষায় এবং ইন্টারভিউতে যারা পাশ করেছেন তাদের নিয়োগ হয়নি। ২০১৬ সালে ৬০ হাজার গ্রুপ ডি নিয়োগের কথা হলেও ৫৪২২ জনের একটি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের।
গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব দপ্তরের অধীনে। সেই দপ্তরের নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। কালিঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে বার বার তারা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুধু চাকরি প্রার্থীরা নয় এর আগে সরকারি কর্মচারিরা হরিশ মুখার্জি, হরিশ চ্যাটার্জি রোড দিয়ে মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে হরিশ মুখার্জি, হরিশ চ্যাটার্জি রোড দিয়ে তারা মিছিল করেন।
Comments :0