Fire Incident

দীপাবলি রাতে রাজ্যের বহু জায়গায় অগ্নিকাণ্ড

রাজ্য জেলা

ঈশ্বরীপুর এলাকায় রঙের কারখানায় আগুন।

নিষেধাজ্ঞা ছিল তবুও শধু শহর নয় গোটা রজ্যজুড়ে দেদার বিক্রি হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি। প্রচুর বাজি উদ্ধারও করেছে পুলিশ। বাজি থেকে আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলল রাজ্যের একাধিক এলাকা। মালদার চাঁচলেও তিনটি বাড়ি আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এমনটাই খবর পাাওয়া গেছে। জ্বলন্ত ফানুস দমদমের মতিঝিলের একটি ল্যাম্প পোস্টের উপরে পরে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বাজির ফুলকিতে বরানগর থানা এলাকার বিনায়ক আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। বাজি থেকে আগুন লাগে দিনহাটা সাহেবগঞ্জ রোডের নতুন পাড়া এলাকায়। রাত আটটা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দীপাবলির রাতে ফানুসের আগুনে পশ্চিম মেদিনীপুরর কেশিয়াড়ি থানার বড়চাটি গ্রামে দুটি তিনতলা মাটির বাড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে ফানুস থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। চন্দননগর বড়বাজারে আবাসনেও আগুন লাগে। আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে পুজোর মোমবাতি থেকে আগুন লাগে। ধোঁয়া দেখা যায় বাইরে থেকে। আবাসিক বৃদ্ধ চিৎকার করতে থাকেন উপর থেকে বাঁচাও বাঁচাও করে। স্থানীয় এক ব্যাক্তি গিয়ে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে। আগুন ছড়িয়ে পরেনি। তাই আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ধোঁয়ায় বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পরেন। অন্যদিকে, চন্দননগরের বৈদ্যপোতায় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির মন্ডপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই মন্ডপে রয়েছে জগদ্ধাত্রী মূর্তি। যদিও মূর্তি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। মন্ডপের ত্রিপল ও বাঁশ পুড়ে গিয়েছে। আরো একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে চন্দননগর তালপুকুর ধারে, দুটি ঘুমটি ঘর আগুনে সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়ে যায়।
পাশাপাশি দীপাবলির রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হুগলির কোন্নগর গ্যাস অফিসে। কোন্নগর জিটি রোড সংলগ্ন, গ্যাস অফিসের ছাদে গভীর রাতে আগুন লাগে। চন্দননগরের পরে হুগলির কোন্নগরে অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে তৎপর দমকল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে একটা নাগাদ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্যাস অফিসের ছাদে ভর্তি কাগজপত্র রাখা ছিল। সেগুলি অতি দাজ্য পদার্থ, এখানে কোনভাবে আগুন লেগে যায়। তার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কোন্নগর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্যাস অফিস এলাকা খুবই জনবহুল। ঠিক গ্যাস অফিসের বিপরীতেই রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল। এবং গ্যাস অফিসে মজুর ছিল সেই সময় একাধিক সিলিন্ডার। স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। 
এই বিষয়ে দমকল অফিসার সোমনাথ দে বলেন, তাদের দুটি দমকল ইঞ্জিন দিয়ে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রথমে তারা একটি ছোট গাড়ি নিয়ে আগুন নেভাতে আসেন, সেই গাড়ির সহযোগিতায় পরবর্তীতে আরেকটু বড় ইঞ্জিনকে আনা হয়। দুটি ইঞ্জিনের প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

মঙ্গলবার ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের ঈশ্বরীপুর এলাকায় একটি রঙের কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নেভাতে কুড়িটি ইঞ্জিন কাজ করে চলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কেমিক্যাল কারখানা থেকে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গেঞ্জি কারখানায়। শিউলি পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ জানিয়েছেন , এই কারখানা গুলির পাশাপাশি কোন জায়গা ফাঁকা নেই একটার পর পাশেই আরেকটা কারখানা সেই কারণেই একটা কারখানায় আগুন লাগলে পাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন ভোর পাঁচটার কিছু আগে তাঁরা হঠাৎই কারখানা থেকে দাউদাউ করে আগুন ও ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  

Comments :0

Login to leave a comment