Ola employee dies by suicide

বেতন বকেয়া রেখে কাজের চাপ, আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার, এফআইআর ওলা সিইও’র বিরুদ্ধে

জাতীয়

বেতন বকেয়া রাখা হয়। অথচ কাজের চাপ অত্যধিক। লক্ষ্য পূরণের জন্য মানসিক হেনস্তা করা হচ্ছে নিয়মিত। 
ওলা ইলেকট্রিকের এক কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন এমনই অভিযোগ জানিয়ে। ওলা ইলেকট্রিকে কর্মরত সেই ইঞ্জিনিয়ার কে অরবিন্দের ঘর থেকে মিলেছেন ‘সুইসাইড নোট’। 
মৃত কর্মীর সেই বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হলো ওলা ইলেকট্রিকের সিইও ভবিশ আগরওয়াল এবং আধিকারিক সুব্রত দাসের বিরুদ্ধে। 
গত ৬ অক্টোবরে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। তা সামনে এসেছে প্রায় চোদ্দ দিন পর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তার দু’দিন পর অরবিন্দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৭.৪৬ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়। এই ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের পর তদন্ত নতুন মোড় নেয়। যার জেরে দায়ের হয় এফআইআর। 
দেশে এবং বিশ্বে একের পর এক ঘটনায় কর্মীরা আত্মঘাতী হচ্ছে, কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কাজের প্রবল চাপে। অভিযোগ জানাচ্ছেন মানসিক হেনস্তার। সবচেয়ে খারাপ পরিণতিও হচ্ছে, মৃত্যুও হচ্ছে একাংশের। শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে কর্পোরেট বাহিনীকে স্বেচ্ছাচার চালাতে দেওয়ার সরকারি নীতির বিপদ বেরিয়ে পড়ছে খোলাখুলি। 
তদন্তে নেমে অরবিন্দের ঘর থেকে মিলেছে ২৮ পাতার নোট। সেখানেই জানিয়েছেন সবিস্তারে কিভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয় কর্মীদের। অভিযোগগ জানিয়েছেন সিইও এবং ওই আধিকারিকের নামে। 
ওলা ইলেকট্রিকের মুখপাত্র ঘটনায় ‘গভীর দুঃখপ্রকাশ করে পরিবারের পাশে থাকার’ কথা বলেছে। তবে এসবই আনুষ্ঠানিক বলছে সংশ্লিষ্ট সব অংশই। 
গত সাড়ে তিন বছর অরবিন্দ ওলা ইলেকস্টিকে যুক্ত ছিলেন। সংস্থার মুখপত্রের দাবি, কাজের সময় অরবিন্দ কোনও ক্ষোভ বা অভিযোগ তোলেননি। বলা হয়েছে, কর্ণাটক হাইকোর্টে এফআইআর’র বিরুদ্ধে আবেদন দায়ের করেছে সংস্থা। আধিকারিকদের পক্ষে অন্তবর্তী রায় দিয়ে আদালত।

Comments :0

Login to leave a comment