MODI CODE OF CONDUCT

মোদী কি নির্বাচনী আচরণবিধির ঊর্ধ্বে? জবাব নেই নির্বাচন কমিশনের কাছে

জাতীয়


বরেন সরকার

‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে।’ ভোটের মুখে ভারতের নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনী আচরণবিধির এখন এই রকমই অবস্থা আচরণবিধি যদি যদি শাসকদল বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করেন তার সাত খুন মাপ। যদি তা বিরোধী দলের কেউ করেছেন বলে কোনও ছোট নেতার নামেও অভিযোগ আসে সঙ্গে সঙ্গে কড়া নির্দেশ আসছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
নির্বাচন কমিশনের বিচার নিয়ে অসংখ্য ঘটনার মধ্যে ছোট দুটি পদক্ষেপের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সম্প্রতি কমিশন এক্স হ্যান্ডলকে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে যেসব পোস্ট আছে তা মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত ২এপ্রিল এক্স হ্যান্ডেলকে নির্দেশ দিয়েছে বিরোধীদের পোস্টে মোদী সম্পর্কে যে মন্তব্য রয়েছে তাতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে তা মুছে দিতে হবে। না মুছলে এক্স হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে। বিরোধী দল কংগ্রেস এনিয়ে প্রশ্ন তুলে জানিয়েছে, যে নির্বাচনী বন্ডকে সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক জানিয়েছে তা পোস্ট করে জানানোয় কোন আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়? জবাব নেই। কমিশনের নির্দেশ মানতে হবে। আরও একটি উদাহরণ হিসাবে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালার বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনী নিয়ে মন্তব্যে শাস্তির কথা উল্লেখ করা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হেমামালিনীর বিরুদ্ধে রুচিহীন মন্তব্য করেছে। তাঁর শাস্তি দুই দিন (৪৮ঘণ্টা) কোনও প্রচার করতে পারবেন না। সুরজওয়ালার দাবি কোনও রুচিহীন মন্তব্য তিনি করেননি। তার ভিডিও ক্লিপিং জালিয়াতি করে বিকৃত করা হয়েছে। কমিশন তার কোনও কথাই শোনেনি। সাজা বহাল রাখা হলো। 
এতো গেল বিরোধী বিচার। কিন্তু শাসক দলের নেতা নরেন্দ্র মোদী বারে বারে নির্বাচনের যাবতীয় আচরণবিধি ভঙ্গ করে ভাষণ দিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ শোনাই হচ্ছে না। একবারে চোখ কান বন্ধ করেই বসে আছে কমিশন। ভাবখানা এরকম যে মোদী কোনও ভুল করতে পারেন না বা বিধি নিয়ম ভাঙতে পারেন না। সব বিচার ব্যবস্থার তিনি উর্ধ্বে বলে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে। 
মোদী বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তিনি স্বয়ং নির্বাচনী বিধি ভেঙে সরাসরি ধর্মকে ব্যবহার করে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন। বারবার নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হলেও তারা নীরব। মোদী ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক যে প্রচার চালাচ্ছে তা তথ্য সহ উল্লেখ করা হয়েছে সিপিআই(এম)’র মুখপত্র ‘পিপল ডেমোক্র্যাসি’র সম্পাদকীয়তে। মোদীর সাম্প্রদায়িক নির্বাচনী প্রচার সরাসরি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়ে তা বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কমিশনে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার এসেছেন। কমিশন আচরণ বিধি লঙ্ঘন বন্ধে তৎপর হবে বলে আশা করা হলেও সে গুড়ে বালি। কিছু হয়নি। দেখা গেল রামনবমীতে মোদীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও রামের নামে ভোট প্রচারে নেমে গেল। আর সারা দিন মূক ও বধিরের মতো ভূমিকা পালন করল কমিশন। ধর্মকে নির্বাচনী প্রচারে আনা যাবে না বলে আচারণ বিধিতে থাকলেও তা প্রয়োগ করতে পারলো না নির্বাচন কমিশন। বিরোধীরা বলছেন, মোদীর দেশে আইন কানুন এরকম সর্বনেশে।
প্রসঙ্গত শাসক মোদীর প্রচারে বেকারি কর্মসংস্থান মূল্যবৃদ্ধি কোনও সময়েই অগ্রাধিকার পায়নি। ঘুরে ফিরেই এসেছে রামমন্দিরের নামে হিন্দুত্বের প্রচার। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ। যা দেশের ভোট প্রচারের আচরণ বিধির পুরোপুরি বিরোধী। ১ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ভোট প্রচারের আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘জাতপাত সাম্প্রদায়িক আবেগের ভিত্তিতে ভোটের আবেদন জানানো যাবে না। মসজিদ, চার্চ, মন্দির বা অন্য কোনও ধর্মীয় স্থানকে ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না।’ ধর্ম বা কোনও ধর্মীয় স্থানকে ভোট প্রচারের অংশ করা যাবে না বলা হলেও তা মোদীর ভাষণের জন্য হয়তো প্রযোজ্য নয়! তিনি আইন কানুন সবার ঊর্ধ্বে! তাঁর ভাষণে বরাবর ধর্মের মোড়কে হিন্দুত্বের প্রচার গুরুত্ব পায়। জীবন জীবিকার ইস্যু গুরুত্ব পায় না এটাই বলছেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য সহ সব অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও তারা যদি ব্যবস্থাগ্রহণ না করবে বলে ঠিক করে থাকে তাহলে কেন নির্বাচনী আচরণবিধি সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করেছে? এই প্রশ্ন এখন সরাসরি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠছে। 
সম্প্রতি জম্মুর উধমপুরের ভোট ভাষণে দেখা গেল নির্বাচনী প্রচারের আচরণ বিধির কোনও তোয়াক্কা না করেই মোদী বললেন, ‘রামমন্দিরে কংগ্রেসকে ডাকা হলো তারা এল না। রামমন্দির হলো হিন্দুদের সহিষ্ণুতার জয়, ৫০০ বছর ধরে যে সহিষ্ণুতা হিন্দুরা দেখিয়েছে তার জয় হয়েছে। ভারতে বিদেশিরা প্রবেশ করে ধর্মস্থান মন্দির ভেঙেছে, দেশের মানুষ তাদের ধর্মস্থান মন্দির রক্ষার জন্য লড়েছেন। মোদী এর পরেই রামমন্দির প্রসঙ্গে এসে সরাসরি বলেন, কংগ্রেস ও তার শরিকরা তখন কি করছিল যে সময় হিন্দুদের রামলালা একটা তাঁবুতে থাকছিল। তিনি বলেন, দেখুন রামলালা তাঁবুতে থাকছে আর কংগ্রেস ও বিরোধী নেতারা সব বড় বাংলোতে রয়েছেন। রামলালাকে তাঁবু থেকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করতে তখন হিন্দুরা সকলের দরজায় দরজায় ঘুরছেন। এটা মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের উপর আঘাত। যে রামকে দেশের মানুষ তাদের আরাধ্য দেবতা মানেন তার থাকার জায়গা নেই। একমাত্র আমরা দেশের মানুষকে বলেছি রাম তার মন্দিরে ফিরবে। তাই দেখুন রামমন্দির হয়েছে। রাম তার মন্দিরে ফিরেছে। সরাসরি নিয়ম ভেঙে ধর্ম এবং তার আরাধ্য দেবতাকে উল্লেখ করে মোদী বললেন, আমাদের রাম মন্দির নিয়ে বিরোধীরা ‘পাপ’ করেছে তাই তাদের ভোট দেবেন না। তিনি বলেন রাম মন্দিরের ট্রাস্ট্রি বিরোধী নেতাদের সব ‘পাপ’ মাফ করে দিয়ে তাদের মন্দিরে আমন্ত্রণ জানায়। তাও তারা যায়নি। তার জন্য বিরোধীদের কখনো ভোট দেওয়া যাবে না বলেই নিদান দেন মোদী। তিনি বললেন, প্রতিটি রামভক্ত কংগ্রেস ও বিরোধীদের এই আচরণ লক্ষ্য করেছেন। তারা ভোটে তাদের ক্ষমা করবেন না।
নির্বাচন কমিশন চোখ বুঝে থাকায় মোদী হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রচারে এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন, যে খাদ্যাভ্যাস নিয়েও জঘন্য মেরুকরণের পথে গেছেন। আমিষ-নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস প্রসঙ্গে কংগ্রেস-আরজেডি-কে আক্রমণ করেছেন। মাছ খাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তেজস্বী যাদব। সেদিন চৈত্র নবরাত্রির শুরুর দিন ছিল। তা নিয়ে বিজেপি আসরে নেমেছিল প্রচারে। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় সেই ভিডিওটি পুরানো। বেকায়দায় পড়ে বিজেপি। এর আগে লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে খাসির মাংস রান্না করেছিলেন রাহুল গান্ধী। দুই ঘটনার উল্লেখ করে মোদী বলেন, আমাদের পবিত্র নবরাত্রিতে, শ্রাবণ মাসে দেখুন বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, লালু প্রসাদ, তেজস্বী যাদব বসে মাংস রান্না করে খাচ্ছেন। পবিত্র মাসে আমরা আমিষ খাই না। আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মকে অপমান করতে তারা আমিষ খাচ্ছেন। এতে তারা সনাতন ধর্মকে অপমান করে যারা আমিষ খায় তাদের তোষণের রাজনীতি করে। সনাতন ধর্মের মানুষ তা সহ্য করবে না। আমিষ খাওয়ার সূত্রে তিনি বিরোধীদের মুঘলদের সঙ্গে তুলনা করেন। যারা নাকি শুধুই মন্দির ভেঙেছিল। 
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব মোদীকে কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে ভিডিও দেখে মোদী একথা বলছেন তা অনেক পুরানো, চলতি মাসের নয়। আর মোদী শুধু আমিষ খাওয়া দেখেন। তার আমলে কত বেকার মানুষের কোনও খাওয়াই জুটছে না তা তিনি দেখতে পান না। কংগ্রেস বলেছে, মোদী ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি অসুস্থ মানসিকতার নয়া নজির তৈরি করছেন। এদিকে শুধু উধমপুরের সভা নয় মোদী নানা সভাতেই লাগাতার সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের লক্ষ্যে হিন্দুত্বের জিগির তুলে প্রচার চালাচ্ছেন। গত ৬ এপ্রিল গাজিয়াবাদে মোদীর সভায় বিজেপির স্লোগান ছিল,‘জো রাম কো লায়ে হ্যায় হাম ইনকো লায়েঙ্গে।’ বিজেপি-কে রামমন্দির বানানোর জন্য ভোট দিতে হবে বলে সরসরি প্রচার চলছে। আবার রামনবমী ঘিরেও চললো ধর্ম ব্যবহার করে রাজ্যে বিজেপি তৃণমূলের যৌথ প্রচার। কার্যত দেশের নির্বাচনী বিধি বিরোধী ধর্মীয় প্রচারকে সোজাসুজি ঢালাও ব্যবহারে নেমেছে বিজেপি, আর নীরব থেকে তাকে পরোক্ষে বৈধতা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ঠিক একইভাবে ধর্মগুরু রামদেবের বেআইনি লোকঠানো কারবার বন্ধে রাজ্যের বিজেপি সরকার ও কেন্দ্রের মোদী সরকারকে চোখে ঠুলি দিয়ে বসে আছে দেখা গেছে। এই মন্তব্য কোনও বিরোধী দলের নয়। সুপ্রিম কোর্ট রামদেবের লোকঠানো বিজ্ঞাপন বন্ধে কেন মোদী সরকার ও রাজ্যের বিজেপি সরকার চোখ বন্ধ করে দিনের পর দিন বসে আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আজকে ধর্ম নিয়ে ভোটের প্রচার করা যাবে না ঘোষণা করেও তা যেমন মানা হয় না সেই একই কারণে রামদেবের লোকঠকানো কারবার বন্ধের আইন থাকলেও তা বন্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তাই রামদেবের প্রসঙ্গ তাৎপর্য্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সুপ্রাম কোর্টের বিচারপতিরা তাঁদের পর্যবেক্ষণে লোকঠকানো বিজ্ঞাপন দিয়ে পতঞ্জলির কর্ণধার রামদেব ও বালকৃষ্ণাণ ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিনিয়ম ভেঙেছেন বলে জানিয়ে দেন। তাঁরা বুঝিয়ে দেন, যে তাঁরা (রামদেবরা) ধোয়া তুলসি পাতা নন। পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন নিয়ে আগে কোর্টে মুচলেকা দিয়ে তারা জানিয়েছিলেন লোক ঠকানো বিজ্ঞাপন আর তারা দেবে না। তার পরেও সেই বিজ্ঞাপন অব্যাহত থাকায় তাদের কোর্টে তলব করায় তারা আদালতে হাজির হয়ে ফের জানায় যে কাজ তারা করেছেন তা আর হবে না। এরই জবাবে বিচারপতিরা বুঝিয়ে দেন রামদেবরা যতটা নিজেদের একদম ধোয়া তুলসি পাতা বলে বোঝাতে চাইছেন তা তারা নয়। আমরা তাই তাকে কোনও দয়া দেখাতেও প্রস্তুত নই। কোর্টের নির্দেশ ভঙ্গের জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে না তার জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 
পতঞ্জলির লোক ঠকানোর বিজ্ঞাপনের শুরু করোনার সময় থেকে। মহামারীর সময় পতঞ্জলি তাদের করোনার ওষুধ বলে করোনিল বাজারে ছাড়ে। তার বিজ্ঞাপনে পতঞ্জলি জানায়, দেশে প্রথম পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করোনার সফল ওষুধ। আইএমএ এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে জানায় পতঞ্জলি করোনা ওষুধের নামে পুরো লোক ঠকানো বিজ্ঞাপন ছেড়েছে। করোনার কোনও ওষুধ বিশ্বে কোথাও বের হয়নি। রামদেব করোনিল নিয়ে বিজ্ঞাপনে প্রকাশ করার পর এই বিজ্ঞাপন দেশে ওষুধ আইনের বিরোধী জানিয়ে মামলা দায়ের করে আইএমএ। ২০২২ সালের আগস্টে সুপ্রিম কোর্টে পতঞ্জলির লোকঠকানো বিজ্ঞাপন সুপ্রিম কোর্টে মামলায় পেশ করে আইএমএ। বিজ্ঞাপনে পতঞ্জলি ‌অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসার বিরুদ্ধে সরসরি প্রচার চালায়। তাতে তারা জানায় ‘ওষুধ কোম্পানি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে ভুল ধারণা প্রচার করছে। দেশের ফার্মা ও ওষুধ কোম্পানির এই ভুল প্রচার থেকে দেশকে বাচাতে হবে।’ একই সঙ্গে প্রচারে বলা হয়, একমাত্র পতঞ্জলির ওষুধ দেশে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগ,থাইরয়েড, লিভার কিরোসিস, আর্থারাইটিস, অ্যাজমা রোগ দূর করার একমাত্র ওষুধ। আইএমএ জানায় পতঞ্জলি পরিকল্পিতভাবেই তাদের ওষুধ নিয়ে লোক ঠাকানো প্রচার চালাচ্ছে। এমনকি ক্যানাসার রোগের ওষুধ নিয়ে একই রকম প্রচার চালাচ্ছে।
একদিকে দেশে  ধর্ম নিয়ে যেমন ভোট কুড়ানো হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে একই ভাবে লোক ঠকানোর ব্যবসাও চলছে রমরমিয়ে। মোদী জমানায় ধর্মই পুঁজি শাসকের, ব্যবসায়ীদেরও। ধর্মের নামে ভোট থেকে ধর্মের নামে ব্যবসা সবেতেই চুপ মোদী প্রশাসন। ধর্মগুরুর ব্যবসা দেখে বিচার ব্যবস্থাও হতবাক। রামদেব ও রামের ব্রিগেডে সব একাকার হলো ভোট প্রচারে।

Comments :0

Login to leave a comment