মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল মণিপুরে পৌঁছেছে, যেখানে তারা রাজ্যে হিংসার মধ্যেই উভয় সম্প্রদায়ের যৌন নিপীড়নের শিকারদের সাথে দেখা করবে। ২১ জুলাই এনসিডব্লিউ প্রধান রেখা শর্মা অভিযোগ করেছিলেন যে যৌন নিপীড়নের শিকার মহিলাদের সাথে দেখা করার জন্য হিংসা-বিধ্বস্ত রাজ্যে কোনও প্রতিনিধি দলই পাঠানো হয়নি।
মণিপুরে জনসমক্ষে দুই মহিলাকে লাঞ্ছিত করার ভয়ঙ্কর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার এক মাসেরও বেশি আগে, সমাজকর্মীরা এনসিডব্লিউকে ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছিল, যার মধ্যে রয়েছে অপহরণ, পিটিয়ে হত্যা, ধর্ষণ।
১২ জুন রেখা শর্মাকে লেখা চিঠিতে রাজ্য এবং উত্তর আমেরিকার মণিপুর উপজাতীয় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যারা পরিদর্শন করেছিলেন, দাবি করেছিলেন সেখানে ‘‘অস্বাভাবিক নীরবতা’’ ছিল এবং যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসার যা প্রকৃত মাত্রা, তার চেয়ে কম রিপোর্ট করা হয়েছিল এবং কুকি-জোমি মহিলারা ব্যাপকভাবে ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হন।’’
৪মে, মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে নগ্ন হকরে হাটানো হয়, মারধর করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ধর্ষণও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
চিঠিতে দাবি করা হয়, ‘‘রাজ্য পুলিশ কমান্ডোরা নিছক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল যখন জনতা হত্যা, লুট এবং বাড়িঘরে আগুন লাগাচ্ছিল...’’
সমাজকর্মীদের সাথে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের শিকার এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ঘটনাগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল চিঠিতে।
চিঠিতে তালিকাভুক্ত অন্যান্য ঘটনাগুলি হল- ৩ মে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের ছাত্র এবং কর্মীদের কথিত হয়রানি ও নির্যাতন, ৪ মে একটি ইনস্টিটিউটে দুই তরুণীকে হয়রানি, ৫ মে দুই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ, ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে হত্যা এবং ১৮ মে এক বৃদ্ধার যৌন নিপীড়ন।
Comments :0