রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগে গায়ে অসাবধানবশত অ্যাসিড পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক ছাত্রী। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই ছাত্রীর। আহত ছাত্রীর নাম জুপিতা লাম। তিনি আসামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার ডিপার্টমেন্টের ল্যাবরেটরিতে। ঘটনায় ডিপার্টমেন্টে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন পড়ুয়া নিজেরাই প্র্যাকটিক্যাল প্র্যাকটিস করছিলেন ডিপার্টমেন্টে। সে সময় অসতর্কতা বশত ছাত্রী জুপিতা লামা শরীরে অ্যাসিড পরে যায়। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। ছাত্রীর চিৎকারে ছুটে আসেন সকলেই। তড়িঘড়ি তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জুপিতা লামা বলেন, যেহেতু পরীক্ষা সামনে তাই কয়েকজন নিজেরাই সেখানে প্র্যাকটিস করছিলাম। স্কলার থাকলেও তিনি নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অধ্যাপকদের কেউ সেখানে ছিলেন না। তখনই ঘটে এই অঘটন। কিন্তু ল্যাবরেটরির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় যেখানে বিভিন্ন কেমিক্যাল রাখা থাকে। সেখানে গাইড ছাড়া সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা কেন প্র্যাকটিস করছিলেন। তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সেরিকালচার ডিপার্টমেন্টের কো-অর্ডিনেটর সৌমেন সাহা। তিনি বলেন, ঘটনার সময় ল্যাবরেটরীতে অধ্যাপক অমিত কুমার মন্ডলের থাকার কথা ছিল। কিন্তু অধ্যাপক মন্ডল সেখানে ছিলেন না। তিনি ছুটিও নেননি। তারপরেও কেন ছিলেন না তা স্পষ্ট নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপকের উপস্থিতিতে ক্লাস হওয়া উচিত ছিল। পুরো বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন সৌমেন বাবু।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অধ্যাপক অমিত কুমার মন্ডল। তার দাবি, সেসময় তার শিফট ছিল না। তখন দায়িত্বে ছিলেন দেবজয় ভট্টাচার্য্য ও সৌমেন সাহা। অযথা নিজেদের গা বাচাতে তাঁকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস, কমার্স এবং ল ডিপার্টমেন্টের ডিন অনিরুদ্ধ দাস হাসপাতালে আসেন ওই ছাত্রীকে দেখতে। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি অনভিপ্রেত। ঘটনা খাতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছে। তবে ছাত্রী এখন সুস্থ আছেন।
raiganj
অসাবধানবশত গায়ে অ্যাসিড পড়ে জখম ছাত্রী

×
Comments :0