অনিন্দ্য হাজরা
‘‘অধিকার ফেরাতে নতুন পর্যায়ের লড়াই শুরু হয়েছে। মিথ্যা মামলা, জরিমানা, জেল দিয়ে ভেবেছিল নতুন প্রজন্মের সঙ্গে লাল ঝান্ডার সম্পর্ক শেষ করে দেবে। নতুন প্রজন্ম শুধু ইনসাফ যাত্রায় হাঁটেনি। রাজ্যকে এই দুর্বিপাক থেকে উদ্ধার করার লড়াইয়ে শামিল হয়েছে।’’ ‘‘সেলিম বলেন, ‘‘ব্রিগেডে গীতাপাঠ, চন্ডীপাঠ হলেও যুবদের সভার অনুমতি মেলেনি। মিলিটারি নামালেও সভা হবে ওইদিন।’’
শুক্রবার যাদবপুরে ইনসাফ যাত্রার সমাপন সমাবেশে এ কথা বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, ‘‘সমাজের সমস্ত অংশের আকাঙ্ক্ষাকে আমরা ছুঁতে পেরেছি। মমতা-আরএসএস বাংলা থেকে সামাজিক ভাবে বামপন্থাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। সেটাকে ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘চোলাই আর চোরাইয়ের রাজত্বে পরিণত করা হয়েছে রাজ্যকে। মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এটা সম্ভব হতো না। তাই মানুষকে ভাগ করেছে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘মিডিয়া জিজ্ঞেস করছে, ইনসাফের প্রভাব ভোটে পড়বে? আমরা বলছি, একটা প্রজন্ম আমাদের দিন, আমরা বাংলাকে বদলে দেব। চাষির হাতের কাস্তেটা এবার প্রয়োজন। কাস্তেতে ধার দিন। খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজন পড়বে। হাতুড়ি সাইকেলের চাকা মেরামত করতে পারলে রাজ্যেরও মেরামতি সম্ভব।’’
সেলিম বলেন, ‘‘ব্রিগেডে গীতাপাঠ, চন্ডীপাঠ হলেও যুবদের সভার অনুমতি মেলেনি। মিলিটারি নামালেও সভা হবে ওইদিন।’’
গ্রাম জেগেছে। তাই প্রতিরোধ হয়েছে। লোভাতুর মানুষকে দিয়ে লড়াই হয়না৷ লড়াই হবে মাটিতে। আকাশে, মহাকাশে হবেনা। মাটি শক্ত করুন। সময় বদলাতে চলেছে। অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ন্যায় আর সাম্য প্রতিষ্ঠা করব আমরা। বাংলার পুন:জাগরণ সম্ভব নয় বামপন্থীদের পুনরুত্থান ছাড়া।
Comments :0