রুমেলিকা লিখেছেন, ‘‘আমি আমার গবেষণার কাজ শেষ করতে পেরেছি, তিলোত্তমা পারেনি। ৯ আগস্টের অভিশপ্ত রাত তাকে কেড়ে নিয়েছে। সেদিনের ঘটনা আমার এবং গোটা চিকিৎসক মহলের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। তার মৃত্যু শুধুমাত্র দেশকে নাড়িয়ে দেয়নি, গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছে সমাজ, তার সাথে নারী নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সাম্যের দাবিও সোচ্চার হয়েছে। আমি আমার এই গবেষণা পত্র তিলোত্তমাকে উৎসর্গ করছি। তার বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে।’’
ধর্মতলায় জুনিয়ার চিকিৎসকরা যেই অনশন করেছিলেন তাতে অংশ নিয়েছিলেন রুমেলিকা কুমার। প্রতিটা দিনই তিনি সংবাদমাধ্যের কাছে জানিয়ে ছিলেন যে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের গোটা চিকিৎসক মহল পথে নেমেছে। রুমেলিকা, দেবাশিষদের মতো জুনিয়ার চিকিৎসকরা নিজেদের সহপাঠির বিচারের দাবিতে প্রতিদিন রাস্তায় থেকে লড়াই চালিয়েছেন। তার জন্য শাসক দলের কটাক্ষের মুখে তাদের পড়তে হয়েছে কিন্তু কোন দিন তারা লড়াই থেকে সড়ে আসেনি।
সোমবার তারা স্পষ্ট জানান যে তিলেত্তমার মা বাবার কথায় তারা অনশন তুলছে কিন্তু বিচারের দাবিতে লড়াই চলবে। আগামী শনিবার আর জি কর হাসপাতালে গণ-কনভেনশন সেখান থেকে তৈরি হবে আন্দোলনের নতুন রূপরেখা।
Comments :0