চন্দন দাস
আপনার সবচেয়ে বড় ভয় কী?
উত্তর এল—‘‘তা হলো, ইন্ডিয়া হয়তো কোনোদিন ধর্মান্ধদের দ্বারা শাসিত হবে যারা যুক্তির যাবতীয় কণ্ঠস্বরকে চুপ করিয়ে দেবে এবং বুদ্ধিজীবীদের সরিয়ে দেওয়া হবে এবং গুলি করা হবে।’’
আপনার প্রিয় স্বপ্ন কী?
‘‘সব মানুষ সমান হবে।’’
আপনার দুঃস্বপ্ন?
‘‘ফ্যাসিবাদ।’’
১৯৯৩-র ২১ নভেম্বর এক ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাক্ষাৎকারে এইভাবেই নিজের আশঙ্কা, স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
কোনও সন্দেহ নেই বাবরি মসজিদ ভেঙে চুরমার করা দেওয়া দেশের অনেক সুস্থ মননে এক তীব্র রেখাপাত করেছিল। কিন্তু সলিল চৌধুরি ‘ফ্যাসিবাদ’কে চিনতে শিখেছিলেন ১৯৩৯-৪০ থেকে। সেই চেনায় মিশে ছিল পারিপার্শ্বিক জনজীবনের অভিজ্ঞতা— দেশজ উপাদান, দেশের মানুষ, তাঁদের যন্ত্রণা, নৈরাশ্য, ক্ষোভ আর স্বপ্ন। আজ সেই বাবরির জমিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। দেশের শাসনকর্তা এখন একজন স্বয়ংসেবক। দেশ পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘর মতো ফ্যাসিবাদী ধাঁচের একটি সংগঠন। আর সেই মুহূর্তেই আমরা এসে দাঁড়িয়েছি সেই মানুষটির জন্মশতবর্ষের সামনে। যাঁর প্রিয়তম স্বপ্ন ছিল শোষণহীন সমাজ। যাঁর দুঃস্বপ্ন ছিল ফ্যাসিবাদ।
সময়ই বিচারক। এখন একদিকে দেশের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ আক্রান্ত। আর একদিকে ধেয়ে আসা ফ্যাসিবাদের সামনে রুখে দাঁড়ানো সেই শক্তি— যাঁরা শোষণহীন সমাজ গড়ার লড়াই চালাচ্ছে লাগাতার।
সলিল চৌধুরির ঢেউ ওঠার ক্ষেত্রেও এমনই এক সময় ছিল প্রধান অনুঘটক। ঠিক তখনও দুনিয়াজুড়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হয়ে উঠেছিল ‘সব মানুষ সমান হবে’-র স্বপ্ন দেখা মানুষের প্রধান দায়িত্ব। সেই লড়াইয়ে গান, নাটক, কবিতা হয়ে উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
তাঁর লেখা, সুর, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে গবেষকরা আলোচনা করেছেন। করেন। ভবিষ্যতেও করবেন। ‘আপনাকে ইতিহাস কেন মনে রাখবে?’ এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সলিল চৌধুরিকেও। তাঁর জীবনাবসানের ১০ মাসে আগে সেই প্রশ্নের উত্তরে সলিল চৌধুরির জবাব ছিল— ‘‘আমার মনে হয় না আমার কোনও অধিকার আছে অন্যদের বলার যে, তাঁরা আমাকে কেন এবং কীভাবে মনে রাখবেন।’’ ঠিক। কে কেন কীভাবে তাঁকে মনে রাখবে, তা নির্ভর করবে কে স্মরণ করছেন তার উপর।
কিন্তু যে-ই স্মরণ করুক, তাঁকে স্মরণীয়র জন্মবৃত্তান্তে পৌঁছাতেই হবে। আমাদের পৌঁছাতে হবে— ‘সলিল চৌধুরি’ কোন পথে সলিল চৌধুরি হলেন।
১৯৪০-’৪১-এ সলিল চৌধুরি কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। রংপুরে ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলনে গান গেয়েছেন তিনি। সে গানেও লড়াইয়ের কথা। কিন্তু তার বেশ কিছুদিন আগে সলিলের সঙ্গে একজনের পরিচয় হয়। তিনি বেশ ভালোবাসতেন সলিলকে। সেই ব্যক্তি বলেছিলেন,‘‘সলিল তুমি শুধু গান লিখে যাও— যা মনে আসবে তাই নিয়ে গান লেখো, সুর করো।’’ অর্থাৎ সবসময়েই লড়াইয়ের গান, যন্ত্রণার গান লিখতে হবে— তা নয়। যা মনে আসবে লেখো, সুর করো, গাও। একজন শিল্পীকে চেনা এবং তাঁকে সৃজনশীলতায় অনুপ্রাণিত করার এর থেকে সঠিক এবং প্রসারিত ভাবনা হয় না।
কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন— লোকটি কে?
তিনি মন্বন্তরে আছেন রিলিফের কাজে। বন্যায় আছেন উদ্ধারকার্যে। আবার কুষ্ঠিয়ার মোহিনী কটন মিল থেকে মেটিয়াবুরুজের কারখানার গেটেও তিনি হাজির। সেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে পায়ে ঘুঙুর বাঁধা। পাঞ্জাবীটা কোমরে ধুতির শক্ত গাঁটে বাঁধা। কারখানাগুলি থেকে শ্রমিকরা বেরোচ্ছেন। শুরু হচ্ছে তাঁর প্রায় নেচে নেচে গান। ক্লান্ত, রিক্ত শ্রমিকরা জড়ো হচ্ছেন তাঁর কাছে। একসময় গান থামছে। পা স্থির। ঘুঙুর বিশ্রাম নিচ্ছে। শুরু হচ্ছে বক্তব্য— শ্রেণি সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার লড়াই মিশে যাচ্ছে তাঁর বাক্যে বাক্যে।
কে তিনি? ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিক, কৃষকদের সংগঠিত আন্দোলনের ধারায় অবিচল স্বাধীনতা সংগ্রামী কমরেড নিত্যানন্দ চৌধুরি।
তিনি সলিল চৌধুরিকে গান বাঁধতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। বলেছিলেন,‘‘সলিল তুমি শুধু গান লিখে যাও — যা মনে আসবে তাই নিয়ে গান লেখো, সুর করো।’’
সংগঠনে এবং সংগ্রামে গান, নাটক, কবিতার অসামান্য ভূমিকা প্রমাণ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টিই। এগুলি ছাড়া লড়াই হবে না। হতে পারে না।
সেই সময়কালের প্রভাব সলিল চৌধুরির জীবনে অক্ষয় হয়েছিল। একাধিক জায়গায় তিনি জানিয়েছেন সে কথা — ‘‘১৯৪৬থেকে ১৯৫২—এই সাত বছরে আমার মানসিক, সাংস্কৃতিক, সাঙ্গীতিক এবং রাজনৈতিক চেতনা যেভাবে গড়ে উঠেছে, তারই ভিত্তিভূমির ওপর দাঁড়িয়ে আমার জীবনের দিগনির্ণয় এবং পথনির্দেশ ঘটেছে।’’
সলিল চৌধুরিকে কমিউনিস্ট পার্টি এবং গণআন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করার একটি সচেতন প্রয়াস থাকে অনেকের। কিন্তু সলিল চৌধুরি কখনও তাঁর জীবনে কমিউনিস্ট পার্টি এবং গণআন্দোলনের প্রভাবকে অস্বীকার করার ন্যূনতম চেষ্টা করেননি। বরং বরাবর সোচ্চারে জানিয়েছেন কীভাবে গণআন্দোলন তাঁকে গড়ে তুলেছে। সোনারপুরের কোদালিয়ায় কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে মেথরদের আন্দোলন প্রথম তাঁর চেতনার পথে স্পষ্ট ধারাপাত এঁকে দেয় ভবিষ্যতের। পরবর্তীকালে কৃষক আন্দোলন, রেল শ্রমিকদের আন্দোলন সহ একাধিক সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন সলিল— তাঁর গান, সুর দিয়ে। আবার অরুণ দাশগুপ্তর যুক্তিতে, আলোচনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কমিউনিস্ট পার্টিই করবেন। সেই রাতেই বেরিয়ে পড়েছেন পোস্টার মারতে।
সৃষ্টির সঙ্গে গণআন্দোলনের সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে তাঁকে আমরা বলতে শুনেছি,‘‘প্রত্যক্ষ গণআন্দোলনের সংস্পর্শে থেকেই আমি গান লিখেছি, সুর দিয়েছি। বৈঠকখানায় বসে কোনোদিন আমি গান করিনি।’’ তাঁর আরও সংযোজন,‘‘আমি পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ছিলাম— সংস্কৃতি ফ্রন্টের। বিশেষ করে কৃষক আন্দোলনে ও কলকাতায় থাকার সময়ে— যত আন্দোলন হয়েছে সবগুলির উপরেই আমি গান লিখেছি।’’
আর কেউ ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা? ভালোবাসা?
ছিলেন।
তবে একটি দিনের ঘটনায় যাই। লাউড স্পিকারে সেদিন বাজছিল,‘বহুদিন মনে ছিল আশা ধরনীর এক কোণে/ রহিব আপন মনে।’ গায়কের মরদেহ সলিল চৌধুরির সামনে চলে যাচ্ছিল। কলকাতা ভেঙে পড়েছিল সেদিন সেই মরদেহবাহী শকটকে ঘিরে।
সেদিন ৭ আগস্ট ছিল। ১৯৪১। বাংলা ক্যালেন্ডারে? ২২শে শ্রাবণ।
আর সলিল চৌধুরি? তখন ১৭। বঙ্গবাসী কলেজের সেকেন্ড ইয়ার আইএসসি’র ছাত্র। সেদিন একটি বাড়ির রকে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। তাঁর কথায়, "সেই আমার সচেতন জীবনের প্রথম আত্মীয় বিয়োগ! কাউকে না বলে এক মাসের অশৌচ নিলাম। তখনও দাড়ি গোঁফ ভালো করে ওঠেনি–কামাবার প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু খালি পায়ে কলেজে আসতাম। মাছ-মাংস খেতাম না।’’
তার অনেক বছর পর তাঁর একটি গান কাল জয়ী হয়ে ওঠে— ‘ধরনীর পথে পথে ধূলি হয়ে রয়ে যাবো…’’। কোথাও কী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ যাত্রার অনুভব থেকে গেছিল?
সেই সলিল চৌধুরি আর এক কলকাতার বর্ণনা লিখেছেন। যা তাঁর জীবনকে বদলে দিয়েছিল।
মনুমেন্ট তখনও ‘শহীদ মিনার’ হয়নি। সময়কাল — ১৯৪৬-’৪৮।
কমিউনিস্ট পার্টি সভা ডাকত মনুমেন্টের নিচে। সভার আগে পুলিশের প্রথম কাজ হতো একটি তালিকা মনুমেন্টের গায়ে সাঁটিয়ে দিয়ে যাওয়া। সেই তালিকায় থাকত কতগুলি গানের প্রথম বাক্য। নির্দেশ লেখা থাকত — এই গানগুলি সভায় গাওয়া যাবে না!
শাসক গান ভয় পেত।
সেই শাসককে ভয় পাওয়ানো গানগুলির বেশ কয়েকটি হলো সলিল চৌধুরির গান।
শাসক কমিউনিস্টদের গান ভয় পেত কেন? ১৯৪৪-র একটি পার্টি চিঠিতে যাবো। পার্টি চিঠিটির বিষয় বস্তু ছিল ‘কালচার ও কমিউনিস্ট।’ লেখা হলো,‘‘...আমরা তো জানি সভ্যতা আজ বানচাল হয়ে পড়েছে, তার হাল ধরে রাখতে পারে ধনিকদের এমন শক্তি নেই। সেই হাল এ যুগের শক্তি তারাই, যারা উৎপাদক। এ যুগে উৎপাদনের শক্তি শ্রমিকদের হাতে, কৃষকদের হাতে,কারুবিদদের হাতে, শিল্পীদের হাতে। আর সেই শক্তিকেই মূলত চাপা দিতে চায়, শাসকশ্রেণি ও শোষকশ্রেণি; কারণ তা নইলে তাদের কায়েমি স্বার্থ টিকে থাকবে না।...সংস্কৃতিও তাদের একটা মুনাফার পণ্য। তারা সংবাদপত্র,মুদ্রাযন্ত্র, নাট্যশালা, সিনেমা, চিত্র,ভাষ্কর্য,স্থাপত্য সব মুনাফার বাজার হিসাবে চালায়।...ধনিকরা আসলে শিল্পী ও লেখকদেরও শ্রেণিশত্রু। কাজেই মূলত শিল্পী ও লেখকদের সঙ্গে শ্রমিকদের ও কৃষকদের বন্ধুত্বই থাকা উচিত। আর এই বন্ধুত্ব এ যুগে হচ্ছে স্বাভাবিক ও অনিবার্য। কারণ, কালচারের আসল উত্তরাধিকারী আজ শ্রমিক কৃষক তা আমরা জেনেছি, সভ্যতার ক্ষেত্রে আজ তারাই স্রষ্টা।’’
সংস্কৃতি কী এবং কমিউনিস্ট আন্দোলন বিকশিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নিয়ে সেই সময়ে বিস্তর চর্চা চলে। আবার সময়কাল ছিল উত্তাল। সলিল চৌধুরির কথায়,‘‘সে একটা যুগ গেছে, যেন একটা স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে দিয়ে দিনরাত্রিগুলি কেটে যেত— মাথায় খালি নতুন নতুন গানের ভাবনা, পকেটে রুমাল বাঁধা ভিজে ছোলার রেশন নিয়ে দিনের পর দিন অর্ধাহারে অনাহারে কেটে যেত, গায়েই লাগত না। ‘বিপ্লব’ ওই দিগন্তের ওপারেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে— আরও কিছু সংগ্রাম, আরও কিছু আত্মত্যাগ করলেই তার প্লাবন এসে অত্যাচার অনাচারকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে মুক্তির সূর্যের দ্বারোদ্ঘাটন করে দেবে, এমনটাই ছিল আমাদের বিশ্বাস আর প্রত্যয়। তিন তিনটে ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে কখনও কৃষকের ঘরের মাচায়, কখনও রেলের খালি ওয়াগনে, কখনও বা নৌকার পাটাতনে লুকিয়ে, হেঁটে হেঁটে বাদা ভেঙে ভেঙে চাষির পল্লিতে পৌঁছে মিটিং হতো।’’
সময় গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সেনানীদের উপলব্ধি। শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র,যুব আন্দোলনে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সাহিত্য, গান, ছবির জগতেও কমিউনিস্ট আন্দোলনকে বিকশিত করে তোলার এক উদ্যোগ সেই সময় নির্দিষ্টভাবে গৃহীত হয়েছিল।
অনেক উদাহরণ আছে এই প্রসঙ্গে। সলিল চৌধুরির জীবনেই আছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন,‘‘কমরেড বীরেশ মিশ্র আমায় ডেকে পাঠালেন। গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে সারা আসাম উনি পরিক্রমা করবেন বিভিন্ন স্টেশনে রেলশ্রমিকদের মিটিং করে করে। আমাকে সঙ্গী হতে বললেন, প্রত্যেক মিটিং-এর আগে রেলশ্রমিকদের সংগ্রামের ওপর গান লিখে আমায় গাইতে হবে। একটা ইঞ্জিনের লাগোয়া বগিতে চেপে শুরু হলো বীরেশদার সঙ্গে আমার যাত্রা। সাথি শুধু আমার সিঙ্গল রিডের হারমোনিয়াম।’’
প্রত্যেক স্টেশনে সেই ‘সিঙ্গল রিডের হারমোনিয়াম’ কাঁধে নিজের লেখা গান গেয়েছেন সলিল চৌধুরি। তাঁর কথায়,‘‘সেসবও কোথায় লুপ্ত হয়ে গেছে, বেঁচে আছে শুধু একটি গান। চলন্ত রেলগাড়ির চাকার শব্দের ছন্দে রচিত...’’
কোন্ সে গান, যা রেলের চাকার শব্দের ছন্দ থেকে জনকল্লোলে পরিণত হয়েছে? হয়েছে কালান্তর?
‘ঢেউ উঠছে/কারা টুটছে/ আলো ফুটছে/ প্রাণ জাগছে, জাগছে, জাগছে’ — হলো সেই গানটি।
১৯৪৬-র ২৯ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটের ঠিক আগের দিন ময়দানে বিশাল সমাবেশে গানটি গাওয়া হয়েছিল — ‘‘শোষণের চাকা আর ঘুরবে না ঘুরবে না/ চিমনিতে কালো ধোঁয়া উঠবে না উঠবে না/ বয়লারে চিতা আর জ্বলবে না জ্বলবে না..../ আজ হরতাল, আজ চাকা বন্ধ..’’
গান ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী সংগঠক। হ্যাঁ, সংগঠক। সেই সূত্রেই সলিল চৌধুরির কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা।
আর একটি কথা, যা তাঁর জীবন থেকে নেওয়া অন্যতম শিক্ষা— ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তো বটেই, গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য গান, নাটক, কবিতার মতো সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলির ভূমিকা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।
‘সলিল’ ছাড়া বিপ্লব? অসম্ভব!
Comments :0