Medinipur Student Police

তৃণমূল-পুলিশের লাথি, গালাগালি, থানা থেকে বেরিয়ে জানালেন সেই সুচরিতা

রাজ্য জেলা

মঙ্গলবারও প্রতিবাদে শামিল ছাত্রছাত্রীরা। মেদিনীপুর কলেজেই শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এসএফআই’র। ছবি ও ভিডিও: চিন্ময় কর

পুলিশ এবং তৃণমূলের যৌথ নির্যাতন দেখেছেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদী ছাত্রী সুচরিতা দাসকে মেরে বের করেছে তৃণমূল। থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। চলেছে নির্যাতন, গালাগালি। তারপরও অদম্য ছাত্ররা। মঙ্গলবার সেই মেদিনীপুর কলেজের গেটেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালো এসএফআই।
রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের নির্দেশেই বন্ধ। অথচ ছাত্রদের থেকে অর্থ নেওয়া হয়। নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই, অথচ তৃণমূলের মাতব্বরি রয়েছে পুরোদমে। তাদেরই হাতে থাকে ছাত্র সংসদের টাকা। 
নির্বাচনের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। একই অবস্থা মেদিনীপুরেও। এদিন মেদিনীপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এসএফআই’র সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। 
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এসএফআই দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সম্পাদক রনিত বেরা, সভাপতি সুকুমার মাঝি। রাত ২টোর সময় মহিলা থানা থেকে ছাড়া হয়েছে এসএফআই কর্মী সুচরিতা দাসকে। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন তিনি।
সুচরিতা জানিয়েছেন যে মেদিনীপুরে জাল স্যালাইন কাণ্ডে বিক্ষোভের সময় থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী আক্রমণের লক্ষ্য করেছে এসএফআই-কে। এই বাহিনীই সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের দিন থাপ্পর মেরে, বুটের লাথি দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে টেনে বের করে সুচরিতাকে। পুলিশ বাধা দেওয়া তো দূর, সহায়তা করছিল। ক্যাম্পাসে বাইরে সুচরিতাকে আনতেই টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশবাহিনী।
সুচরিতা জানিয়েছেন এর পরের অভিজ্ঞতাও ভয়ঙ্কর। মহিলা থানার ওসি ফোন করে বলতে থাকেন ‘তোর কোন কোন বাবা আছে ডাক, পারলে ছাড়িয়ে নিয়ে যাক’।
দলদাসের মতো আচরণ করেছে থানার মহিলা পুলিশকর্মীরাও। নির্যাতনের সঙ্গে চলেছে গালাগালি। সুচরিতা জানিয়েছেন যে তিনি পুলিশকর্মীদের বলেন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই আচরণ করা যায় না। আপনারা কী পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? পুলিশের সেই কর্মীরা পড়াশোনাকেই নোংরা ভাষায় গাল পেড়ে চালিয়েছে ফের নির্যাতন। তৃণমূলের পুলিশ কোন পর্যায়ে নেমেছে তার আরেকটি বিবরণ মেদিনীপুরের এই ঘটনা।

Comments :0

Login to leave a comment