Nandigram

শিশুকে ট্রলিতে ভরে অপহরণের চেষ্টা, নন্দীগ্রামে গ্রেপ্তার ৫

রাজ্য জেলা

৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়ার লোমহর্ষক ঘটনা ঘটলো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। অভিযোগ এক গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে নন্দীগ্রামের শিমুলকুন্ডু গ্রামে। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকা তোলপাড় হতেই দূরে শিশুটিকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে শিশুটিকে উদ্ধার করে,  সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জন মহিলা সহ ৫ জন পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পতি পেশায় গৃহশিক্ষক শিমূলকুন্ডু গ্রামে ৯ বছরের এক শিশুকে পড়াতে যেত। দোলের দিন শুক্রবার সকালে গরীব পরিবার রুটি রুজির তাগিদে ওই শিশুর বাবা ও মা  ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাউরুটি বিক্রী করতে চলে যায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সকালে ওই বাড়ির দরজার চাবি খুলে ৪ বছরের শিশুর মুখে কাপড় গুঁজে অপহরণ করে  ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে ৯ বছরের মেয়েটির হাত পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়। তবে এর পরেই ৯ বছরের মেয়েটি চিৎকার করে। পাড়ার মানুষ জন ছুটে আসে। সবাইকে এই ঘটনার বিষয়ে জানালে চারিদিকে আলোড়ন পড়ে যায়। এর জেরেই অভিযুক্তরা বাচ্চা সহ ট্রলি ব্যাগটি নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। দীর্ঘ তল্লাশির পর ওই টিউশান শিক্ষককে পাকড়াও করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সঞ্জয় পতির দাবি, ‘‘আমি ওই বাচ্চার বাবাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলাম। সেই টাকা কিছুতেই উদ্ধার হচ্ছিল না। তাই চাপ দিতেই এক বন্ধুর পরামর্শ মতো ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে পালাই। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাচ্চাকে বাড়িতে আটকে রেখে টাকা আদায় করে নেব। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।’’ নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে জানা গেছে বাচ্চাকে অপহরণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপহরণের আসল উদ্দেশ্য কি তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment