অবিভক্ত ভারতবর্ষে, অখন্ড জলপাইগুড়ির প্রথম শহীদ, বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্তের ১১৫ তম আত্মবলিদান দিবস শুক্রবার সকালে জেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে পালিত হয় শহীদ বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটির আহ্বানে। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে তাঁর মর্মর আবক্ষ মূর্তির সামনে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে মাল্যদান করেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শৈবাল দাসগুপ্ত, চিকিৎসক পান্থ দাসগুপ্ত, সলিল আচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন, রাহুল হোর, দেবরাজ বর্মন, আকাশ পাল চৌধুরী সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুপর্না দাসগুপ্ত আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী আকাশ পাল চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সলিল আচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায়, জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ পার্থ সারথি চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায়বর্মন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিকিৎসক পান্থ দাসগুপ্ত। বক্তারা বলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগের সহিংস বিপ্লবী আন্দোলনের ধারায় এক উজ্জ্বল নাম শহীদ বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্ত। ১৯১০ সালের, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, মাত্র ২১ বছর বয়সে ব্রিটিশ রাজশক্তি তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। জন্মসূত্রে তিনি জলপাইগুড়ি বাসী না হলেও তার স্মৃতি জলপাইগুড়িতে আজও অমলিন। ১৮৮৯ সালের ২০ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন অগ্নি যুগের বিপ্লবী বীরেন্দ্র দত্তগুপ্ত। ১৯০৮ সালে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে এক বছরের জন্য নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তারপরে রংপুরের জাতীয় বিদ্যালয়ে চলে যান। ঐতিহাসিক আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার তদন্তকারী ব্রিটিশ পুলিশ আধিকারিক কুখ্যাত সামশুল আলমকে কোলকাতার আলিপুর আদালত প্রাঙ্গণে গুলি করে তিনি হত্যা করেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে স্মৃতি রক্ষা কমিটির তরফে শহীদ বীরেন্দ্র দত্তগুপ্তের নামে একটি রাস্তা নামকরণের দাবি জানান হয় সভাধিপতি লিখিত আবেদন করার কথা বলে জানান এপ্রসঙ্গে তিনি প্রয়জনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
Comments :0