মেহুল চোকসি’র মতো ৫০জন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীর রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাছে বকেয়া রয়েছে ৯২,৫৭০ কোটি টাকা। বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাড।
কারাড জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী, ঋণখেলাপীদের তালিকার প্রথমেই রয়েছে মেহুল চোকসির নাম। হীরে ব্যবসায়ী চোকসি ৭৮৪৮ কোটি টাকার ঋণ শোধ না করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য উদ্ধৃত করে কারাড জানান, এই পরেই রয়েছে ‘এরা ইনফ্রা’ এবং ‘রেইগো অ্যাগ্রো’ নামে দুটি ঋণখেলাপী সংস্থা। ‘এরা ইনফ্রা’র বকেয়ার পরিমাণ ৫৮৭৯ কোটি, এবং ‘রেইগো অ্যাগ্রো’র বকেয়া রয়েছে ৪৮০৩ কোটি টাকা। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে কনকাস্ট স্টিল, এবিজি শিপইয়ার্ডের মতো সংস্থার নাম। এখনও ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫.৪১ লক্ষ কোটি টাকা।
সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব এবং বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলি পুঁজিপতিদের বিপুল পরিমাণ ঋণ মুকুব করেছে। টাকার অঙ্কে যা ১০.১ লক্ষ কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি ঋণ মুকুব করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তারপরেই রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক হল ২ লক্ষ কোটি টাকা, এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক মুকুব করেছে ৬৭,২১৪ কোটি টাকার ঋণ।
Comments :0